সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে চরমপন্থীরা। নিহত তিনজনই চরমপন্থী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।

নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের আবু হানিফ ওরফে হানিফ আলী (৫৬) ও তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন (৩৫)। এর মধ্যে হানিফ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা।

এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর কালু পরিচয় দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়।

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দাবি করা হয়, ‘এতদ্বারা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ,কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিণাকুণ্ডু নিবাসী মো.

হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।’

নিহত হানিফ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ছিলেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে হাসিনা সরকারের সময় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন হানিফ।

শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের মতিয়ার রহমান বলেন, রাতে স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনজনকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, আমাদের সোর্সের মাধ্যমে খবর পাই যে ওই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনাস্থলে তিনজনের মরদেহ পড়ে আছে। মরদেহের পাশে দুইটি মোটরসাইকেল রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ উপজ ল র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং: বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন মুখপাত্

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মূলত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে চরমপন্থি হামলা এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন করেন।

তবে ওই প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেকোনো বিষয় কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন ইস্যুতে সৌদি আরবে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে গোলাগুলিতে নিহত ৩, আহত ১৫

এদিনের ব্রিফিংয়ে ওই প্রশ্নকারী জানতে চান, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামপন্থি চরমপন্থি হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকের বেআইনি কারাদণ্ডের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে এবং বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য মার্কিন সরকার কীভাবে কাজ করছে?

জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “হ্যাঁ, ঠিক আছে। আমরা যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই, আমার মনে হয় আমরা অন্যান্য দেশগুলোকে কীভাবে পরিচালনা করি, তাদের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করলে তাদের কাছ থেকে আমরা কী আশা করি, যদি আমরা তাদের আমাদের বন্ধু মনে করি, তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলোতে ফিরে যাই তা হলো- কূটনৈতিক পরিস্থিতি।”

তিনি আরো বলেন, “সৌভাগ্যবশত আমাদের এমন একটি প্রশাসন এবং একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে মুখোমুখি কথোপকথন করেন এবং অবশ্যই আমাদের শক্তির বিষয়েও প্রভাব ফেলেন।”

ট্যামি ব্রুস বলেন, “এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট- যিনি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য পরিচিত- তিনি জানেন, আমরা প্রতিটি দেশ, অবশ্যই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ থেকে মানবাধিকারের নিয়ম মেনে চলার এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের তাদের সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কে সচেতন এবং ন্যায্য হওয়ার প্রত্যাশা করি।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং: বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন মুখপাত্