‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন কখন, ঠিক করবেন জনপ্রতিনিধিরা’
Published: 22nd, February 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কখন হবে, সেটা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ঠিক করবেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘‘নির্বাচন যত দেরিতে দিবেন, দেশ নিয়ে তত বেশি ষড়যন্ত্র হবে। তাই কিছু কিছু মহল আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়, এসব টালবাহানা বিএনপি মানবে না। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বিএনপি প্রস্তুত আছে।’’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর সেনবাগ জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘‘বিএনপি আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) সমর্থন করেছে, এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা আজ ক্ষমতায়। সুতরাং এমন একটি নির্বাচন দিন, যেই নির্বাচনে জনগণের পছন্দের দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়।’’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্যাহ বিএসসি, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক বাবুল প্রমুখ।
ঢাকা/সুজন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘আধিপত্যবাদী শক্তি ষড়যন্ত্র করে আসছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য’
দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানাভাবে আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানাভাবে আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য, যাতে আমরা বিশ্ব সমাজে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি। কিন্তু এদেশের মানুষ সবসময় স্বৈরাচার এবং দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের অদম্য সাহসে প্রতিহত করে এসেছে।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষকে যাতে আটকিয়ে রাখতে না পারে এজন্য ন্যায়বিচার, মানবিক সাম্য তথা প্রকৃত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে সেজন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে একুশের অম্লান চেতনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।”
ভাষা শহীদদের স্মরণ করে তিনি লেখেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের অবিস্মরণীয় একটি অধ্যায়। আমি এই দিনে সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। রক্তরাঙ্গা ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা’র মর্যাদা রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এ দিনেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান।”
তারেক রহমান বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। বায়ান্ন সালের ২১’শের রক্তাক্ত পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম তীব্র হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা। জনগণ শৃঙ্খলমুক্ত হয়, ফিরে পায় একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় গোটা বিশ্বে মাতৃভাষা’র মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।”
ঢাকা/ইভা