কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল (৫০) মারা গেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

আরো পড়ুন:

মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ৪

মারা যাওয়া ইব্রাহীম দেবিদ্বার পৌর এলাকার ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়ার মৃত হাসন আলীর ছেলে। তিনি ফতেহাবাদ বায়তুল আল আকসা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক মাস আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে কান্দারপাড় এলাকার ব্রিজের ওপর মাসুদ ও কামরুলের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে মাসুদ, ওবায়দুল ও জিল্লুরের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫-৩০ জন যুবক সংঘটিত হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুলদের ওপর হামলা চালায়। কামরুল দৌঁড়ে ‘বায়তুল আকসা জামে মসজিদে’ আশ্রয় নিলে তারা মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মসজিদের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। মসজিদে তখন শবে-বরাতের নামাজ চলছিল। 

মুসল্লিরা হামলাকারীদের বাধা দেন। এসময় হামলাকারীদের আঘাতে ইব্রাহীম খলিলসহ ১০-১২ জন আহত হন। গুরুতর ইব্রাহীমকে রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ইব্রাহীম খলিলের বড় ভাই মো.

ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নামে এবং নাম না জানা ১০-১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “‍পূর্বশত্রুতার জেরে শবে-বরাতের রাতে ফতেহাবাদে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, মসজিদে হামলা, ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল মারা গেছেন। আমরা একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। আরো দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ঘটন য় মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম বিয়ে দুই মাসও টেকেনি, তৃতীয় বিয়েও বিচ্ছেদে

ছবি: শিল্পীর ফেসবুক

সম্পর্কিত নিবন্ধ