নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চগড়ে আট দিনব্যাপী ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলা শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই বইমেলা বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।  পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম ইমাম রাজি টুলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল কাদের, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বীসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

‘জোনাকি পোকার মতো বই অন্ধকারে আলো ছড়ায়’

মধুসূদনের জন্মদিন উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন

পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিমের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের মতো পঞ্চগড় ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।  শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সব বয়সের এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যাতে নিজেদের পছন্দ মতো বই কিনতে পারেন, বই পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পঞ্চগড়ের ভাষা শহীদ মো.

সুলতান, আব্দুল কাদেরের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম যাতে বিশদ জানতে পারে মেলায় সেই ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন বই প্রেমীরা মেলায় আসবেন, বই কিনবেন বলে আশা করেছেন বক্তারা।

মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী, রাজনৈতিক ও ইসলামিক সংগঠনের প্রকাশনীর ৩৪টি স্টল অংশগ্রহন করেছে। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি, স্থানীয় কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রখেছে জেলা প্রশাসন।

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর বইম ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্রবার মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পটি সম্ভবত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। দুর্যোগ মডেলিংয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এর স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি কম্পনজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য লাল সতর্কতা রয়েছে।

এটি বলেছে, “উচ্চ প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুর্যোগটি সম্ভবত ব্যাপক আকার ধারণ করবে।”

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে অবস্থিত। এখানে ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস করে।

শনিবার সকালে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা  এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং  আহতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।

তবে ইউএসজিএস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ, যা ১০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের মধ্যে হতে পারে।

ইউএসজিএস আরো জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ মিয়ানমারের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা সামরিক-শাসিত রাজ্যে ত্রাণ প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে। কারণ ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে চার বছরের গৃহযুদ্ধেউদ্ধার পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ