এই গেইম কোত্থেকে চলতেছে আমরা ঠিকই বুঝি: হান্নান মাসউদ
Published: 22nd, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড কে- তা নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নতুন নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছেন আন্দোলনের সম্মুখসারির ছাত্র সমন্বয়করাও। এবার বোমা ফাটালেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
আজ শনিবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে হান্নান মাসউস বলেন, ‘এই গেইম কোত্থেকে চলতেছে আমরা ঠিকই বুঝি। দোসরা আগস্ট যেখান থেকে গেইম খেলতে গিয়ে ডাউব্বা মারছেন, সেখান থেকেই নতুন গেইমের উত্থান!!! লাভ নাই.
তার সেই পোস্টে তিন ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগাড়ায় কাপড় কাটার কাঁচির আঘাতে জামায়াত নেতা খুন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নুরুল হক (৫৩) নামের এক জামায়াত নেতাকে কাপড় কাটার কাঁচির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের কানুরাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক পেশায় পল্লিচিকিৎসক ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সজীব বড়ুয়া (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নুরুল হক কলাউজান ইউনিয়নের বলিপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। আটক যুবক একই ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া এলাকার খোকা বড়ুয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
নিহত নুরুল হক জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কলাউজান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কানুরাম বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত নেতা নুরুল হক কানুরাম বাজারের একটি চেম্বারে রোগী দেখেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি পাশের একটি গ্রাম থেকে রোগী দেখে চেম্বারে ফিরে দেখেন ফিরে দেখেন, সজীব বড়ুয়া মাদকাসক্ত হয়ে তার চেম্বারে বমি করেছেন। এতে নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে সজীবকে তাড়িয়ে দেন। এর জের ধরে সজীব পাশের একটি দরজির দোকান থেকে কাপড় কাটার কাঁচি নিয়ে নুরুল হকের মুখে উপর্যুপরি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সজীব বড়ুয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নুরুল হককে হাসপাতালে আনেন স্থানীয় লোকজন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মুখে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে ঘটনার পরপরই লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক মো. জাহেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোদের সহযোগিতায় সজীব বড়ুয়া নামের এক যুবককে আটক করেছে। পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।