ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি আলোচনায় জেলেনস্কির থাকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার ফক্স নিউজ রেডিওর ‘দ্য ব্রায়ান কিলমাদে শো’-তে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধে সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আলোচনা শুরু করেছে, সেখানে ইউক্রেনের নেতাকে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে দেখছি। আমি দেখছি জেলেনস্কি আলোচনা করছে। তার আর কিছু করার নেই। আর আপনি এ নিয়ে বিরক্ত, শুধুমাত্র বিরক্ত।

তিনি আরও বলেন, জেলেনস্কি তিন বছর ধরে বৈঠকে আছে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। তো আমি মনে করি না তিনি (শান্তি আলোচনায়) উপস্থিত থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ। জেলেনস্কি চুক্তি কঠিন করে দেয়। কিন্তু দেখুন তার দেশে কী হয়েছে। এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ট্রাম্প সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, পুতিন চাইলে পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে পারেন। যদি জেলেনস্কি ইউক্রেনকে বাঁচাতে চান, তাহলে তার চুক্তি করা উচিত। তিনি বলেন, পুতিন চুক্তি চায়। কিন্তু তার চুক্তি না করলেও চলবে। তিনি চাইলে পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবেন।

এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কি ও বাইডেন চাইলে রাশিয়ার হামলা আটকাতে পারত। কিন্তু তারা এ নিয়ে যথেষ্ঠ কাজ করেননি, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেননি।

ট্রাম্প বলেন, পুতিনকে বুঝিয়ে এই হামলা ঠেকানো যেত। কিন্তু তারা জানে না, কীভাবে কথা বলতে হয়। আমি পুতিনকে ভালো বলতে চাইছি না। কিন্তু এ যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষকের আপত্তি

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। এছাড়া, বোনাস শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফাকে সঠিকভাবে আর্থিক হিসাবে দেখায়নি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজার। এ ফান্ডের সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক হিসাবে এমন অডিট আপত্তি জানিয়েছে নিরীক্ষক।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মিউচুয়াল ফান্ড রুলস-২০০১ এর ৫৬ ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ফান্ড থেকে মোট সম্পদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কোনো একটি খাতে বিনিয়োগ করা যাবে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। কিন্তু, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩০.১০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, এ ফান্ড ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিলিভার কনজুমারের ৬ হাজার বোনাস শেয়ার পেয়েছে, যা ফান্ডের নীতিমালা (পলিসি) অনুযায়ী আগে থেকেই পোর্টফোলিওতে থাকা ইউনিলিভারের শেয়ারের দরের সঙ্গে সমন্বয় করে গড় ক্রয় মূল্য কমিয়ে আনা হয়। তারা একই বছরে ৮ হাজার ৫০০টি ইউনিলিভারের শেয়ার বিক্রি করে। তবে, এক্ষেত্রে তারা ওই পলিসি অনুসরণ করেনি। যদি ফান্ডটির নীতিমালা অনুযায়ী বোনাস শেয়ার বিবেচনা করা হতো, তাহলে সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে নিট লাভ এবং প্রভিশনের আগে নিট মুনাফা ৯৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেত।

২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৬.৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৩৩.৪৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কোম্পানির ইউনিট দর দাঁড়িয়েছে ৮.১০ টাকায়।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ