জেলেনস্কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন: ডোনাল্ড ট্রাম্প
Published: 22nd, February 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি আলোচনায় জেলেনস্কির থাকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার ফক্স নিউজ রেডিওর ‘দ্য ব্রায়ান কিলমাদে শো’-তে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধে সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আলোচনা শুরু করেছে, সেখানে ইউক্রেনের নেতাকে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে দেখছি। আমি দেখছি জেলেনস্কি আলোচনা করছে। তার আর কিছু করার নেই। আর আপনি এ নিয়ে বিরক্ত, শুধুমাত্র বিরক্ত।
তিনি আরও বলেন, জেলেনস্কি তিন বছর ধরে বৈঠকে আছে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। তো আমি মনে করি না তিনি (শান্তি আলোচনায়) উপস্থিত থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ। জেলেনস্কি চুক্তি কঠিন করে দেয়। কিন্তু দেখুন তার দেশে কী হয়েছে। এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ট্রাম্প সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, পুতিন চাইলে পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে পারেন। যদি জেলেনস্কি ইউক্রেনকে বাঁচাতে চান, তাহলে তার চুক্তি করা উচিত। তিনি বলেন, পুতিন চুক্তি চায়। কিন্তু তার চুক্তি না করলেও চলবে। তিনি চাইলে পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবেন।
এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কি ও বাইডেন চাইলে রাশিয়ার হামলা আটকাতে পারত। কিন্তু তারা এ নিয়ে যথেষ্ঠ কাজ করেননি, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেননি।
ট্রাম্প বলেন, পুতিনকে বুঝিয়ে এই হামলা ঠেকানো যেত। কিন্তু তারা জানে না, কীভাবে কথা বলতে হয়। আমি পুতিনকে ভালো বলতে চাইছি না। কিন্তু এ যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত ছিল না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান
গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রামমুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পর খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও, গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা। জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে হবে।