বরগুনার তালতলীতে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বর্ণমালা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পায়রা নদী ইলিশ রক্ষা কমিটি ও তালতলী চারুকলা একাডেমির আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিশুরা মাতৃভাষা দিবসের গানের ওপর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও ক্লে মাটি দিয়ে বিভিন্ন বর্ণমালা তৈরি করে।
আরো পড়ুন:
কুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হল খোলা, তদন্ত শুরু
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা
তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক শ ফ ব র য় র উৎসব অন ষ ঠ ত লতল
এছাড়াও পড়ুন:
চাটমোহরে দুই দিনব্যাপী কবিতা উৎসব শুরু
বাংলা কবিতাকে তৃণমূল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ‘কবিতা আনুক চিত্তের মুক্তি’ এই স্লোগানে পাবনার চাটমোহরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী কবিতা উৎসব।
শুক্রবার বেলা ১১টায় চাটমোহরের কুমারগাড়া গ্রামে ছায়াঘেরা বাড়ি একান্তের কাঞ্চনতলায় উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি ও সাহিত্যিক নাট্যকার নির্দেশক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একান্তের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ।
অমর একুশের দলীয় গান দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একে একে কবিতা আবৃত্তি করেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কবি সাহিত্যিকরা। যাদের সবার কণ্ঠে ছিল একুশের কবিতা। পরে সাংবাদিক ও সঙ্গীত শিল্পী মাসুদ রানার একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন ও ঘুরে দেখেন অতিথিরা।
উৎসবে অংশগ্রহণ ও কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও সাহিত্যিক নাট্যকার ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, বাসসের বার্তা সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন শাহীন, কথা কবিতা আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র, প্রকৌশলী উত্তম কুমার দাস, আশরাফুল হাসান বাবু, এনামুল হক বাবু, রিচি, প্রজ্ঞা, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মঞ্জুয়ারা রশিদ, রকিবুর রহমান টুকুন, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম নাজু, তিতাস রোজারিও, চিত্রা রোজারিও, রানা আহমেদ, লাবণ্য হাসান, মাহফুজ হাসান, শাপলা খাতুন, রোকাইয়াসহ অনেকে।
আয়োজক একান্তের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী চিন্তার, চেতনার, বোধের যে অন্ধকার, তার বিরুদ্ধে মানুষ নানাভাবে লড়াই করছে। গানে, কবিতায়, সাহিত্যে, চিত্রকলায়, রাজনীতিতে বিভিন্নভাবে এ লড়াই চলছে। তার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কবিতা। আর এই কবিতাকে দেশের নানা প্রান্তের মানুষকে যুক্ত করা, অনুপ্রাণিত করা, এর মাধ্যমে তার চিত্তের মুক্তি ঘটলো। মূলত এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন আয়োজন ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক নাট্যকার ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বাড়ছে। কথায় কথায় বাংলার মধ্যে ইংরেজি ঢুকে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে জগাখিচুড়ির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এটি কাম্য নয়। বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে এমন আয়োজন আমাদের আশান্বিত করে, স্বপ্ন দেখায়। এমন আয়োজন সবখানে ছড়িয়ে পড়ুক।
সাবেক সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে এমন একটি আয়োজনে অংশ নিতে পেরে। ঢাকা থেকে আসা আবৃত্তি শিল্পীদের সঙ্গে স্থানীয় আবৃত্তি শিল্পীরা, শিশুরা যেভাবে কবিতা আবৃত্তি করলো তাতে সত্যিই আমিও অভিভূত। এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। এর মাধ্যমে কবিতা ছড়িয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের সারাদিন কবিতা আবৃত্তি ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব শেষ হবে শনিবার।