নাটোরে লালপুরে ওয়াজ মাহফিল চত্বরে মাদক সেবনে নিষেধ করায় দুই যুবককে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তাদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চকনাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। 

আহতরা হলেন- একই গ্রামের আয়াত আলীর ছেলে আহাদ (২০) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে সজিব (১৯)।

আরো পড়ুন:

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ৪

লঞ্চে তাস খেলায় বাধা দেওয়ায় হামলা, আহত ১০

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চকনাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গতকাল প্রথম দিনের ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯ টার দিকে বিদ্যালয়ের ছাদে উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে দ্বীপসহ কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছিলেন।

বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন যুবকের নজরে আসলে তারা তাদের সেখানে মাদক সেবন করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার জেরে দ্বীপের নেতৃত্বে ওয়াজ মাহফিলের মাঠে ১৫-২০জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আহাদ ও সজিবের ওপর হামলা চালায়। তাদের মারধরে দুই যুবক আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।  

লালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান বলেন, ওয়াজ মাহফিলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আহত উপজ ল ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ