ইয়াশ রোহান। অভিনেতা ও মডেল। বছরব্যাপী নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরার একটি শুটিং সেটে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। সেখানেই কাজের ব্যস্ততা ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।

কোন নাটকের শুটিং করছেন, এর গল্পটা কেমন?
আশির দশক থেকে শুরু করে টেলিভিশনে হুমায়ূন আহমেদের পারিবারিক গল্পের নাটক দেখতে সবাই পছন্দ করেন। সেখানে ট্র্যাজেডি, কমেডিসহ অনেক কিছুই থাকত। তেমন একটি নাটকে অভিনয় করছি। নাম ‘হৃদয়ে রেখেছি গোপনে’। এটি নির্মাণ করছেন মাহমুদ মাহিন। এখানে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।

ভালোবাসা দিবসের নাটকে কেমন সাড়া পেলেন?
এবার ‘তোমায় পাবো কি’ ও ‘ভালোবাসা সোল্ড আউট’ নামে দুটি নাটকে অভিনয় করেছি। গল্প দুটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলাম। দুটি নাটকই দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।

একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন.

..
হ্যাঁ। শুটিং, ডাবিংসহ সিনেমাটির সব কাজ শেষ। এটা নিয়ে আপাতত কথা বলার অনুমতি নেই। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।

তানজিম সাইয়ারা তটিনীর সঙ্গে আপনার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়, সত্যি কী প্রেম করছেন?
এর আগেও আমি এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। তবে আপনি জানেন, আমি কাজের বাইরে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। মানুষের অনেক কিছু বলার ও মনে করার বিষয় আছে। তারা যা খুশি তা মনে করতে পারে। আমি তো নিজের সম্পর্কে জানি। সুতরাং আমার জায়গায় আমি ঠিক থাকলেই হলো। তবে হ্যাঁ, তটিনী আমরা কাজের জায়গায় ভালো বন্ধু। যে গুঞ্জনের কথা বলছেন, যেটা শুধুই গুঞ্জন। গুজবে কান দিবেন না। 

আপনি তো অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন, জুটি প্রথা বিশ্বাস করেন?
এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু নেই। দর্শক একসঙ্গে দেখতে পছন্দ করার মানে তারা ভালো কিছু করছে। আমিও অনেকের সঙ্গে টানা অভিনয় করেছি। দর্শক সেটা গ্রহণও করেছেন। তবে সেটা যেন দর্শকের বিরক্তির কারণ না হয়।

কাজের মূল্যায়ন কীভাবে দেখেন?
আমি ভালো কাজ করে যেতে চাই। সেই কাজের মূল্যায়ন পেলে আমি আরও ভালো কাজ করব। মূল্যায়ন না পেলে কাজ করব না। যেহেতু আমার দর্শকের কাছে সেই মূল্যায়ন পাচ্ছি, তাই আরও ভালো কাজ করে যেতে চাই।

একসঙ্গে অনেক নাটকের গল্পে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে চরিত্র বদল করতে কতটা সময় নেন?
আমাদের দেশের নাটক ইন্ডাস্ট্রি অনেক ছোট। কষ্ট করেই আমাদের টানা কাজ করতে হয়। সময়ও কম পাওয়া যায়। তবে আমি একটি থেকে আরেকটি নাটকে যাওয়ার আগে সময় নিই। এমনও হয় একটি কাজ ভালো করার জন্য আরেকটি ছেড়ে দিয়েছি। সময় নিয়ে কাজ করলে ফল ভালো পাওয়া যায়।

সিনেমা নিয়ে ভাবনা?
বাংলাদেশে বছরে কয়টি সিনেমা হয়। বড়জোড় ৫০টি। এর মধ্যে কাজের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমি সিনেমা করছি না মানে মনের মতো গল্প পাচ্ছি না। যদি পেতাম অবশ্যই করতাম।

সিনেমায় কোন ধরনের গল্প চান?
এটা আসলে বলা যায় না। কারণ, আমি অনেক ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করি। অনেক ধরনের চরিত্র নিয়ে ভাবি। আমাকে দেখতে হবে কোন ধরনের গল্প আমার কাছে আসছে। সেগুলোর মধ্যে পছন্দ হলে করবো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টক ক জ কর কর ছ ন করছ ন পছন দ ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামের সঙ্গে খাবেন কোন খাবার 
  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা   
  • বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
  • হিংসা-বিদ্বেষহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • ঘোষণা দিয়ে বন্ধ ক্যাম্পাসে ঢুকছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা