পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচ টেপ প্যাঁচানো লাশটি ব্যবসায়ী বাসারের
Published: 22nd, February 2025 GMT
রাজশাহী নগরের পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচ টেপ প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া লাশটি একজন ব্যবসায়ীর। তার নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। নগরের মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি। বিনোদপুর বাজারে তার একটি দোকান আছে।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাশের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা তাকে শনাক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আবুল বাসার নিখোঁজ ছিলেন।’’
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে নগরের লালন শাহ মুক্ত মঞ্চসংলগ্ন এলাকায় কাশবনে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখের ওই এলাকায় ঘুরতে যাওয়া লোকজন। পরে পুলিশকে জানানো হয়। নিহত আবুল বাসারের মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচ টেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল।
ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আলামত দেখে মনে হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি
নুর ইসলামকে সভাপতি ও রীমন আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এই কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলামের কিছু পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা এসব ছবি নিয়ে সংগঠনের ভেতরে সমালোচনা চলছে।
নুর ইসলাম ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ ছাত্রদলের একটি পক্ষ। তিনি কলেজের একটি হলে ‘ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও’ ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বলছে, নূর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছেন।
রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রামেক ছাত্রদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। সভাপতি পদ পাওয়া নুর ইসলাম ২০২৩ সালে এমবিবিএস শেষ করেছেন।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি দেওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে নূরের ছবিগুলো আমরাও পেয়েছি। রাতেই আমরা দেখেছি। এখন তার কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন স্বাচিপ নেত্রী-তাদের সঙ্গে তো ছবি তুলতেই পারে। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে যায়নি; বরং ওই ফ্যাসিস্টের আমলে সে আমাদের দলে কর্মসূচিতেই দীর্ঘদিন থেকে আছে।’
দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে নূর ইসলাম (ডানে)