পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, বায়ুমণ্ডল এবং বিকিরণ থেকে সুরক্ষা– সবকিছুই মানবদেহের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য উপযোগী। এমন ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ না থাকায় মহাকাশ ভ্রমণকালে নভোচারীদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাইক্রোগ্রাভিটি, উচ্চশক্তির বিকিরণের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মহাকাশচারীদের দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশচারীকে সরাসরি এই উচ্চশক্তির বিকিরণের মুখোমুখি হতে হয়। এর ফলে তাদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। স্নায়বিক সমস্যা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে।
মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব থাকায় মাধ্যাকর্ষণের অভাবে নভোচারীর শরীরে থাকা তরল মাথার দিকে উঠে যায়, ফলে মুখ ফোলা দেখায় ও চোখের ভেতরে চাপ বাড়ে, যার কারণে কমে যায় দৃষ্টিশক্তি। একইভাবে কমে যায় হাড়ের ঘনত্ব। তাতে কমে যায় পেশির কার্যকারিতা। মহাকাশচারীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হয় মানসিক। দীর্ঘ সময় মহাকাশ স্টেশনের সীমিত স্থানে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করায় মানসিক চাপ, অনিদ্রা, মস্তিষ্কের দুর্বলতাসহ নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন নভোচারীকে। রয়টার্স।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি
নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।
মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।