Samakal:
2025-03-29@14:34:11 GMT

নভোচারীর শরীরে মহাকাশের প্রভাব

Published: 22nd, February 2025 GMT

নভোচারীর শরীরে মহাকাশের প্রভাব

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, বায়ুমণ্ডল এবং বিকিরণ থেকে সুরক্ষা– সবকিছুই মানবদেহের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য উপযোগী। এমন ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ না থাকায় মহাকাশ ভ্রমণকালে নভোচারীদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাইক্রোগ্রাভিটি, উচ্চশক্তির বিকিরণের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মহাকাশচারীদের দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।

পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশচারীকে সরাসরি এই উচ্চশক্তির বিকিরণের মুখোমুখি হতে হয়। এর ফলে তাদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। স্নায়বিক সমস্যা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে।

মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব থাকায় মাধ্যাকর্ষণের অভাবে নভোচারীর শরীরে থাকা তরল মাথার দিকে উঠে যায়, ফলে মুখ ফোলা দেখায় ও চোখের ভেতরে চাপ বাড়ে, যার কারণে কমে যায় দৃষ্টিশক্তি। একইভাবে কমে যায় হাড়ের ঘনত্ব।  তাতে কমে যায় পেশির কার্যকারিতা। মহাকাশচারীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হয় মানসিক। দীর্ঘ সময় মহাকাশ স্টেশনের সীমিত স্থানে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করায় মানসিক চাপ, অনিদ্রা, মস্তিষ্কের দুর্বলতাসহ নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন নভোচারীকে। রয়টার্স।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। আজ শনিবার দেশটির সামরিক কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে।

সামরিক কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৪ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৮ জন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৩৯ জন।

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আট দেশে গতকাল শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে আজ শনিবার দুপুরেই। এর আগে প্রাথমিক খবরে দেশটিতে প্রায় ১ হাজার জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছিল।

মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। দেশ দুটিতে হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, বিশেষত মিয়ানমার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি। কেননা, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে ও সেখান থেকে তথ্য পাওয়া কঠিন।

আরও পড়ুনমিয়ানমারে ভূমিকম্প: ভবনের নিচে চাপা পড়ে শিক্ষকসহ ১২ শিশুশিক্ষার্থী নিহত১ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটার শক) হয়।

আরও পড়ুনমিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে কী কারণে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হলো১ ঘণ্টা আগে

আরও পড়ুন:

সম্পর্কিত নিবন্ধ