ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত বৃহস্পতিবার এক মা ও তাঁর দুই শিশুসন্তানসহ যে চার ইসরায়েলি মৃত জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে, তাদের মধ্যে মা শিরি বিবাস নেই। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। এতে গাজায় আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে হামাসের দাবি, শিরি বিবাসের মৃতদেহ ইসরায়েলি বিমান হামলার ধ্বংসস্তূপে থাকা অন্যান্য দেহাবশেষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। মৃতদেহ বিকৃত হওয়ায় ভুল লাশ পাঠানো হতে পারে। এদিকে শুক্রবার তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি পশ্চিম তীরে হামাসের ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। 

সিএনএন জানায়, মৃতদের মধ্যে দুই শিশু কেফির ও এরিয়েল ছিল। কিন্তু তাদের মা শিরি বিবাসের লাশ হিসেবে এসেছে অজ্ঞাত কোনো নারীর মৃতদেহ। আরেক জিম্মি ওদেদ লিফশিৎজের লাশও তাতে ছিল। জিম্মিদের সঙ্গে শিরির লাশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে তাঁর পরিবার। আর লাশ ফেরত না দিতে পারাকে হামাসের ব্যর্থতা উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এই জঘন্য আচরণের জন্য হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন শিরির লাশ ফেরতে জাতিসংঘের হস্তপেক্ষ চেয়েছেন।    

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস পরিচালিত এক অভিযানে পরিবারটির চার সদস্যকে অপহরণ করা হয়। শিশুদের বাবা ইয়ার্ডেন বিবাস চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি পান। ইসরায়েলি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিকৃত মৃতদেহটি শিরির নয় বলে নিশ্চিত করেছে। 

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঐকমত্যের সরকারে হামাসকে সমর্থন করার জন্য আরব লিগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। এ ব্যাপারে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড বিবৃতি প্রকাশ করেছে। হামাসের বক্তব্য, ‘আমরা গাজা পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পদ্ধতি প্রণয়নে সর্বোচ্চ নমনীয়তা দেখিয়েছি। জাতীয় ঐকমত্য সরকার গঠনেও আমরা সম্মত। সরকারে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হবে।’অন্যদিকে, রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাস আজ শনিবার ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইতোমধ্যে তাদের নাম ঘোষণা হয়েছে। তারা হলেন– এলিয়া কোহেন, ওমর শেম টোভ, ওমর ওয়েনকার্ট, তাল শোহাম, আভেরা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সায়েদ।

আলজাজিরা জানায়, গাজায় বর্তমানে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা ১০ দিনে একবার গোসল করার পানি পাচ্ছেন। বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপর তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে তাদের। পানির অভাবে রান্নাবান্না ও টয়লেটে ভীষণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। ফাতেন নামে এক বাসিন্দা বলেন, কখনও কখনও মনে হয়, যুদ্ধে মারা যাওয়াই ভালো ছিল। পানির ট্রাক আসে মাঝে মাঝে। লাইনে দাঁড়ালেও অনেক সময় শেষ পর্যন্ত পানি মেলে না। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৩১৯ জন নিহত ও ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৯ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ বৈঠক শুরু হয়। 

৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব মনিরুজ্জামান।

গত ২৩ মার্চ ঐকমত্য কমিশনে সংস্কারের মতামত জমা দেওয়ার পর আজ এ বৈঠক হচ্ছে। এর আগে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ‘স্প্রেড শিট’ (ছক আকারে) পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন ভালো করার জাপানি উপায় ‘রুইকাতসু’
  • রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তনে জোর আপত্তি বিএনপির
  • রাজনৈতিক উপন্যাসের স্মরণীয় কণ্ঠস্বর
  • হালদায় ডুবলেন মঞ্জু সঙ্গে পরিবারের স্বপ্নও
  • শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি: কনা
  • বিএনপির চেয়ে বেশি সংস্কার কোনো রাজনৈতিক দল করেছে, প্রশ্ন নজরুল ইসলাম খানের
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • বন্ধুগো শোনো...
  • ‘আইজ কিতা ফয়লা বৈশাখ নি, ভালা দিনে পুয়া জন্ম নিছে’
  • সালমানকে হুমকি, একজনকে খুঁজে পাওয়ার পর যে তথ্য দিল পুলিশ