Prothomalo:
2025-04-18@22:40:34 GMT

শিক্ষক নিয়োগে সংকট দূর করুন

Published: 22nd, February 2025 GMT

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যে শুধু বাংলা ভাষা নয়, সব জাতিসত্তার ভাষার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি উচ্চারিত হয়। সে লক্ষ্যে বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও দেশের অন্যান্য কিছু জাতিসত্তার ভাষাতেও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে আসছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ওঁরাও, মুন্ডা, রাজোয়ারসহ কয়েকটি জাতিসত্তার মানুষের সাদরি ভাষা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাদরি ভাষার বই পড়ানোর মতো কোনো শিক্ষক নেই। ফলে সাদরিভাষী শিশুরা সেসব বই পড়তে পারছে না। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সাদরি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে আসছে এনসিটিবি। সেসব বই পাঠানোও হচ্ছে সাদরিভাষী বিভিন্ন জাতিসত্তার বসবাসের জেলাগুলোতে। ওঁরাও, মুন্ডা, মাহাতো, রাজোয়ারসহ কয়েকটি জাতিসত্তার মানুষ এ সাদরি ভাষায় কথা বলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল ও সদর উপজেলায় সাদরিভাষী জাতিসত্তাগুলোর প্রায় ১০০টি গ্রাম আছে। বই গেলেও শিক্ষক না থাকায় এসব গ্রামের শিশুরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাতৃভাষার অনেক শব্দ, সংস্কৃতি কিংবা পালাপার্বণ তাদের কাছে অজানা।

নাচোলের স্থানীয় দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, সাদরিভাষী শিশুরা ওই ভাষায় বই পড়তে চায় না। তাই তাঁরা সাদরি ভাষার বইয়ের চাহিদাও পাঠাননি। কিন্তু বিষয় হচ্ছে এ ভাষায় যে বই প্রকাশিত হয়েছে, সেটিই জানে না সাদরিভাষী অনেক শিক্ষার্থী। অথচ মাতৃভাষায় পড়তে তারা আগ্রহী। আবার অনেকগুলো বিদ্যালয়ে ঠিকই সাদরি ভাষার বই গেছে। সেসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, তঁাদের বিদ্যালয়গুলোর মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার। সাদরি ভাষার বই পেলেও তাদের শিক্ষকের সংখ্যা কম এবং প্রশিক্ষণও নেই। ফলে সে ভাষায় পাঠদানের বিষয়টি নিয়ে একপ্রকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ওঁরাওদের সামাজিক সংগঠন দিঘরী পরিষদ গোমস্তাপুর উপজেলা শাখার নেতারা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবি সরকার ২০১৫ সালেই মেনে নেয়। কিন্তু আজও সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আসলে আমরা চরম অবহেলার শিকার।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.

জেছের আলী জানান, ‘সাদরি ভাষায় বই ছাপানো এবং শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া মাতৃভাষায় শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি এক ধাপ অগ্রগতি বলে মনে করি। ধাপে ধাপেই কাজ এগোয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।’

আমরা আশা করব, সাদরি ভাষার শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সাদরিভাষী এতগুলো জাতিসত্তার শিশুরা মাতৃভাষায় পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হবে, তা কোনোভাবে মানা যায় না। দেশের সব জাতিসত্তার শিশুরা নিজ নিজ মাতৃভাষায় পড়াশোনা করবে, নিজের মাতৃভাষা জানবে ও শিখবে—এটিই তো আমাদের ভাষা আন্দোলনের চেতনা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ষ র বই স দর ভ ষ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ