আইনজীবী সেজে শ্রীলঙ্কার আদালতের ভেতরে ঢুকে এক গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী হত্যাকাণ্ডে যে পিস্তল ব্যবহার করেছে সেটি একটি বইয়ের অংশের মাঝের অংশ কেটে সেখানে রেখে বিচারকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজটি করেন এক নারী। তবে তাকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। 

পুলিশ জানায়, কলম্বোতে গ্যাং সদস্যদের দুই পক্ষের মধ্যে বেশ ঝামেলা চলছে। এরমধ্যেই সেখানে ঘটল এমন হত্যাকাণ্ড। সাঞ্জেয়া কুমারা সমরারত্নে নামের গ্যাংস্টারকে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে কারাগারেই ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার তদন্ত চলছিল।

অস্ত্রধারী গুলি করে আদালত থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়া যে নারী কৌশলে পিস্তলটি নিয়ে গিয়েছিলেন তাকেও শনাক্ত করা হজয়েছে। এখন তাকে ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ ঘোষণা দিয়েছে, যদি কেউ এ নারীর সন্ধান দিতে পারে, তাহলে তাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনার পর আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপর আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে কাজ শুরু হয়। যারমধ্যে রয়েছে সশস্ত্র রক্ষীদের আদালতের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া।

শ্রীলঙ্কায় আদালতের ভেতর সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্য অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না। গ্যাংস্টারকে হত্যার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যখন কোনো বিশেষ আসামিকে আদালতে আনা হবে তখন বিচারকের কক্ষে অস্ত্রধারী রক্ষীরা প্রবেশ করবেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।

ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।

সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কারখানাতেই শ্রমিকের ‘আত্মহত্যা’, ছুটি ঘোষণা
  • বাগদান সারলেন ঋতাভরী
  • মোহামেডানের হোঁচটের দিনে আবাহনীর জয় 
  • হ্যাটট্রিক জয়ের পর মিলল হারের স্বাদ
  • ‘ফেসবুক গল্পের’ উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল ঘটনা
  • শারমিন-ফারজানায় টাইগ্রেসদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
  • মোটরসাইকেলের জন্য ডেকে নিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • ২ উইকেটে ১৩৪ থেকে ২২৭ রানে থামলো বাংলাদেশ 
  • চীনের যেভাবে ট্রাম্পের শুল্কের জবাব দেওয়া উচিত
  • ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে