Prothomalo:
2025-04-18@15:03:27 GMT

‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলা আজ

Published: 22nd, February 2025 GMT

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে প্রথমা বুক ক্যাফে শিশু-কিশোর কর্নারের (কিডস জোন) আয়োজনে ‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শনিবার। রাজধানীর মাদানী অ্যাভিনিউর কোর্ট সাইডের শেফস টেবিলে এ মেলার আয়োজন করা হবে।

এবারের মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে কিছু প্রতিযোগিতা। দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে এ প্রতিযোগিতায়। থাকছে চিত্রাঙ্কন (ছবি আঁকা) ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতা শুরু হবে বেলা দুইটায়। হাতের লেখা প্রতিযোগিতা বেলা তিনটায়। প্রতিযোগিতা হবে দুটি বিভাগে। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক বিভাগ আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত খ বিভাগ। বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী অশোক কর্মকার, মাসুক হেলাল, আরাফাত করিম এবং এস এম রাকিবুর রহমান।

‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলায় আরও থাকছে জাদু প্রদর্শনী, অরিগ্যামি, গুফি ওয়ার্ল্ড পরিবেশনা, গীতাঞ্জলি সংগীত একাডেমির গান, মাহমুদা আক্তারের গল্প বলা, রোবট ড্যান্স ও পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন। এ আয়োজনে জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথমা প্রকাশন প্রকাশ করেছে পাঁচটি নতুন বই। এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।

প্রথমা বুক ক্যাফের শিশু–কিশোর কর্নারটি শিশুদের জন্য সাজানো হয়েছে। কীভাবে সন্তানের বন্ধু হবেন প্যারেন্টিং সেশনটি পরিচালনা করবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাইখানদের প্রার্থনা

গণহত্যার প্রতিবাদ করে জালিম ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে মজলুম গাজাবাসীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়।

গাজায় গণহত্যা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়াকাটায় মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে রাখাইন সম্প্রদায়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুক্রবার রাখাইন জলকেলি উৎসবের শুরুতে গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি: রাইজিংবিডি 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে

অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি

শুক্রবার দুপুরে (১৮ এপ্রিল) কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন রাখাইন মাঠে জলকেলি উৎসবের প্রারম্ভে সবাই দাঁড়িয়ে এই নীরবতা পালন করেন।

রাখাইনদের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় বলেও জানিয়েছেন সম্প্রদায়টির ধর্মগুরুরা।

গণহত্যা অভিযানে গাজা ও ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাখাইনদের এসব উদ্যোগ মানবতার জন্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষ।

রাখাইন জলকেলি উৎসব দেখতে আসা কলাপাড়ার আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বলেন, “আজ জলকেলি দেখতে রাখাইন মাঠে এসেছি। এখানে এসে একেবারেই অবাক হয়েছি। তারা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাজাবাসীর জন্য নীরবতা পালন করেছে।”

“নিপীড়িত গাজাবাসীর জন্য তাদের সহমর্মিতা আমাকে আপ্লুত করেছে,” বলেন হোসেন মিয়া।

মহিপুর থেকে আসা মো. আবদুস সালাম বলেন, “এমনিতেই রাখাইনদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আজ তারা গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল।”

মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ উত্তম মহাথের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাজাবাসীর জন্য প্রায়ই বিশেষ প্রার্থনা করি। শুধু গাজাবাসীই নয়, পৃথিবীর সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যুদ্ধ বন্ধ হোক- এটাই আমাদের প্রার্থনা।”

“ আমরা মানুষ হিসেবে সবাইকে সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন উত্তম মহাথের।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “গাজাবাসীর প্রতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে মানবতার সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি তারা দেখিয়েছেন, এ জন্য তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

“রাখাইন সম্প্রদায় ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও মানবতার ধর্ম সবার এক। তাই রাখাইন সম্প্রদায় এই নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের সম্প্রীতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল।”

শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাখাইন জলকেলি উৎসব, যাতে শামিল হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বিদেশিরাও।

উৎসব শুরুর দিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় রাখাইনদের। তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের আনন্দ করতে দেখা যায়। উৎসবে সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঢাকা/ইমরান/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ