ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুরে গতকাল শুক্রবার তিনজনকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার বিষয়ে জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন। স্থানটি কুষ্টিয়া জেলা-সীমানার কাছাকাছি। ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পড়ে ছিল।

চরমপন্থি নেতা কালুর পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর খালের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।’ সড়কের ওপর দুটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে বলেও জানিয়েছে তারা।

চরমপন্থিরা ঘোষণা করেছে, ‘এতদ্বারা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিণাকুণ্ডু নিবাসী মো.

হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মন্জুর মোর্শেদ সমকালকে বলেন, তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হানিফ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বাড়ি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আহাদনগর গ্রামে। যে এলাকায় হত্যাকাণ্ডের কথা শোনা যাচ্ছে, সেটি শৈলকুপার মধ্যে। এলাকাটি নির্জন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শৈলকুপা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। তবে মৃত্যুর বিষয়টি গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেনি।

হানিফের একজন স্বজন জানিয়েছেন, হানিফ মারা যাননি। তবে অন্য কয়েকজন মারা গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে ঠিক কেউ মারা গেছে, না আহত হয়েছে– নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় ওই সূত্র।
শৈলকুপা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম নিহতদের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি।

 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউপি সদস্যসহ তিনজনের কাছে মিলল আড়াই লাখ জাল টাকা

কক্সবাজারে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যও রয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা এলাকায় বিজিবির তল্লাশিচৌকিতে তাঁরা ধরা পড়েন।

গ্রেপ্তার ইউপি সদস্যের নাম মো. হাসান। তিনি রামুর কাউয়ারকোপ ইউপির সদস্য। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুজন হলেন একই ইউনিয়নের মো. কাজল ও এহসানুল হক। তাঁদের তিনজনের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৫টি বেশি পশুর হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব হাটে জাল নোট বেচাবিক্রির একটি দল সক্রিয় হয়েছে। উখিয়া উপজেলা থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে আসার সময় ওই ইউপি সদস্য ও তাঁর সহযোগী দুজনকে বিজিবি আটক করে। পরে তাঁদের রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, জাল নোটসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাল নোট বেচাবিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউপি সদস্যসহ তিনজনের কাছে মিলল আড়াই লাখ জাল টাকা