মিরপুরে একাধিক দোকান ও বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি
Published: 21st, February 2025 GMT
মিরপুর ১০ নম্বর এ ব্লকের ২০ নম্বর লাইন। ‘মা মনি’ স্টোর নামে একটি মুদি দোকান। বৃহস্পিতবার ভোর রাত ৪টা ২০ মিনিট। সিসি ফুটেজে দেখা গেল দামি প্রাইভেট কার নিয়ে তিন ব্যক্তি এক এক করে নেমে আসেন। এরপর দোকানে তালা কাটা শুরু করেন। তালা কাটা শেষে দোকানের সামনে থেকে চলে যান।
তবে কয়েক মিনিট পর আবার একই গাড়িতে ওই দোকানের সামনে আসেন তারা। এরপর সাটার খুলে ক্যাশ বাক্স, সিগারেটের প্যাকেটসহ একে একে অনেক মালপত্র বের করে প্রাইভেটকারে তোলেন।
একই কৌশলে কাছাকাছি তিনটি দোকানে ডাকাতি করেছে একই চক্র। ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে চক্রের অভিযান। এছাড়া ওই এলাকার আরো দুটি বাসায় একই সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মা মনি স্টোরের মালিক আরমান হোসেন সমকালকে জানান, শুক্রবার সকালে দোকানে এসে দেখি সাটার লাগানো। তবে দোকানের তালা ভাঙা। ক্যাশবাক্সসহ অনেকে মালপত্র উধাও। একইভাবে আরিফুল ইসলামের একটি পাঞ্জাবির দোকান, রুবেলের সালমান বিরানী হাউজ ও ৫ নম্বর সড়কের দু’টি বাসায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
আরেক দোকানি রুবেল মিয়া বলেন, দোকানে ডাকাতির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এসে আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২৮ বছর ধরে একই ঠিকানায় দোকান করছি। এই ধরনের দুর্ধর্ষ ঘটনা কখনো ঘটেনি। নগদ টাকাসহ দেড় লাখ টাকার মালপত্র নিয়ে গেছে। দোকানের সামনের একটি ভবনের দোতলায় আমার বাসা। রাত সোয়া ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে গিয়েছিলাম। যে কায়দায় দোকানে চুরি করেছে তা অবিশ্বাস্য। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। জড়িতরা শনাক্ত হোক। প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক। মিরপুরে যেখানে আমার দোকান সেখানে ৩–৪টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে। পাশে বেনারশী পল্লী। সেখানে যদি এরকম অবস্থা হয়, কোথায় কে নিরাপদ? পুলিশের টহলও দেখি না। আমরা কিছু চাই না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
সমকালের হাতে আসা একাধিক সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, চোর চক্রে তিনজন। একজনের পায়ে কেডস। পরনে সবুজ স্যুট। একজন প্রথমে আশপাশে তাকাচ্ছিলেন। এরপর অন্য দুই সঙ্গী দোকানে ঢুকে একে একে সব মালপত্র বের করে নিয়ে আসেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথাও বলছেন
হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তামিম ইকবালের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আজ বিকেলে কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম পর্যবেক্ষণে থাকবেন তামিম। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ।
তামিমের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সতীর্থরা হাসপাতালে এসেছেন। বিকেএসপিতে ম্যাচ খেলে হাসপাতালে এসেছেন তাঁর দীর্ঘ সময়ের সতীর্থ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আজ সকালে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে বিকেএসপিতে গিয়েছিলেন তামিম। শাইনপুকুরের বিপক্ষে মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে টসও করেন। এরপর তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে আনা হয়।
একপর্যায়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর আবার কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে আনার পর তাঁর বুকে ব্লক ধরা পড়ে। একটি রিংও পরানো হয়েছে।