ছাড়মূল্যে ৫ লাখ আসনের টিকিট বিক্রি করবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাভিত্তিক উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা এয়ার অ্যারাবিয়া। ‘সুপার সিট সেল’ নামে প্রতিষ্ঠানের প্রচারের একটি উদ্যোগের আওতায় এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

এয়ার অ্যারাবিয়ার এই উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ও আবুধাবিতে বিরতিহীন ফ্লাইটে করে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। সেখান থেকে তাঁরা সৌদি আরব, তুরস্ক, জর্ডান, কাতার, পোল্যান্ড, গ্রিস, ইতালি, মিসর, আজারবাইজানসহ নানা গন্তব্যে যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবেন। এক পথে (ওয়ান ওয়ে) যাতায়াতের ক্ষেত্রে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ১১ হাজার ৮৬৬ টাকা।

বিশেষ এই উদ্যোগের আওতায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বুক করা যাবে। ওই টিকিট দিয়ে তাঁরা চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে শারজা ও আবুধাবিতে যাত্রীরা ১১ হাজার ৮৬৬ টাকায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

এয়ার অ্যারাবিয়া মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার প্রথম ও কম খরচে সেবা দেওয়া সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা। বর্তমানে ২০০টির বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে তারা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে, কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না আয়োজন

গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৯তম প্রয়াণ দিবস আজ ১৮ এপ্রিল। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। তার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে ছিল না কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন। উপজেলা প্রশাসন বা কোনো প্রেস ক্লাবের পক্ষেও ছিল না কোনো আয়োজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়কের আজ বিয়ে। এ কারণে ১৮ এপ্রিল দিনটি ঘিরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল না জাদুঘরে। তবে, সেখানে অবস্থিত কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফুলের মালা দিয়েছেন জাদুঘরের কর্মচারীরা। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারখালী পৌরসভার কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা। প্রধান গেটে ঝুলছে তালা। চত্বরে অবস্থিত ম্যুরালে ফুলের মালা ও পুষ্পস্তবক রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু

ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন বলেন, “জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মন্ডল চলতি মাসের ৫ তারিখ যোগদান করেছেন। আজ শুক্রবার কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবস। আজই স্যারের (তত্ত্বাবধায়ক) বিয়ে। সেজন্য, আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পেছান হয়েছে। পরে করা হবে।” 

দিনটি ঘিরে কোনো আয়োজন না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাঙাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধর স্বর্গীয় অশোক মজুমদারের স্ত্রী গীতা রানী মজুমদার। তিনি বলেন, “কাঙাল ভাঙিয়ে অনেকজন বড় লোক হয়েছেন। সেই কাঙাল কাঙালই আছে। কাঙালের মতোই যাচ্ছে তার তিরোধান দিবস।”

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন কাঙাল হরিনাথ। আজ কাঙালই বঞ্চিত। আমরাই সবচেয়ে বঞ্চিত, অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হয়। অরক্ষিত কাঙালের সমাধি ও ব্যবহৃত তৈজসপত্র। প্রশাসন তো দূরের কথা সাংবাদিকরাও খোঁজ নেয় না।” 

গীতা রাণীর ছেলে দেবাশীষ মজুমদার বলেন, “সাংবাদিকরা কাঙালকে গুরু দাবি করেন। গুরুকে শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে রেখে স্মরণ করলেই হবে না, কাঙালের সব অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করতে হবে।”

এ বিষয়ে জানতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মন্ডলকে ফোন দেওয়া হয়। ফোনটি অন্য একজন রিসিভ করে বলেন, “তাপসের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। পরে কথা বলে নিয়েন।” 

কাঙাল হরিনাথের অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত জাদুঘর কর্তৃপক্ষ করে থাকে বলে ফোনে জানান কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, “অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কুন্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৩ সালের এপ্রিল মাসে কুমারখালী থেকে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। তার স্মরণে কুমারখালীতে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ হয়েছে। তবে, অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে তার ভিটা ও সমাধি।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ