তীব্র সবুজ সংকটে ভুগছে রাজধানী। উন্নয়নের করাতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে গাছ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পলাশীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের জন্য হাতিরঝিলের একাংশ ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো গাছের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বৃক্ষপ্রেমী একদল শিশু-তরুণ। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে কেটে ফেলা পাঁচটি গাছ ও বুনোফুল দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব মৃত গাছের স্মরণ ও গাছ রক্ষার দাবিতে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। পান্থকুঞ্জ পার্কে মৃত গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে, তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে ৭০ দিন ধরে এই পার্কে অবস্থান করছেন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণরা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। কাটা গাছ দিয়েই শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শ্রদ্ধা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পান্থকুঞ্জে ছায়া ছিল, পাখি ছিল। মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসত। পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলকে মুক্তি দিন। পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে শুধু এই এলাকার মানুষ নয়, পুরো রাজধানীর বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি

সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ