Samakal:
2025-02-22@09:17:18 GMT

বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ

Published: 21st, February 2025 GMT

বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনের গালফুড মেলা। মেলায় বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান এবার ৩৪ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৪৫ লাখ ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশ পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল উইং এ তথ্য জানায়। 

এবারের নিশ্চিত ক্রয়াদেশ গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। গত বছর মেলায় ক্রয়াদেশ ছিল প্রায় ১০৭ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এবার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য ক্রয়াদেশ পেয়েছে প্রায় ২৯ দশমিক ১৬৩ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলার সুফল হলো, পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার কারণে দেশীয় বায়ার না পাওয়ায় ক্রয়াদেশ কমেছে। মেলায় স্থান সংকুলান নিয়েও ছিল অভিযোগ। আগামী বছর আরও বড় পরিসরের ভেন্যু ঘোষণা দিয়ে এ আসরের ইতি টানেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো.

শোয়াইব হাসান বলেন, ভিসা জটিলতা থাকায় এবার মেলায় অংশগ্রহণকারী ছাড়া দেশীয় বায়াররা তেমন অংশ নিতে পারেননি। দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর চেষ্টায় শেষ মুহূর্তে ৮২ জন ভিসা পান। এতে মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেছে।
বোম্বে সুইটস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আহমাদ ফরহাদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। এ মেলায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাত প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে। তারা কীভাবে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আইডিয়া নিতে পারছেন। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ওপর আরও জোর দিতে হবে। 

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি আবুল হাসেম সমকালকে বলেন, এ বছর আমরা ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশের টার্গেট নিয়ে মেলা শুরু করি। কত ক্রয়াদেশ এসেছে, তার চেয়েও বড় বিষয়– এ মেলার কারণে আমরা নিয়মিত বায়ার পাচ্ছি। মেলায় হয়তো তারা ছোট অর্ডার করছেন। কিন্তু পর্যায়ক্রমে তাদের চাহিদা আরও বাড়বে।
গত দুই আসরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা স্থান সংকুলানের অভিযোগ তুলে আসছেন। এ বিষয়ে এবার মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সে অনুযায়ী আগামী আসরে জায়গা বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, এবারও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে। কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান একই রকম পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে। পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না। আগামীতে মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
এদিকে গালফুডের পরবর্তী আসরে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সঙ্গে ভেন্যু হিসেবে যোগ করা হবে দুবাই এক্সপো সিটি। এক মাস এগিয়ে আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুটি আলাদা ভেন্যু নিয়ে বৃহৎ পরিসরে মেলার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫

খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি-ভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্নিভ্যাল ২২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে থাকছেন দেশবরেণ্য প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তির বিভিন্ন খাত, ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কিং–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।

প্রযুক্তির দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ

পার্বত্য এলাকাগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এখনো অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সীমিত। তরুণদের আইটি খাতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। এডুলাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে সবার অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। এই অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি আইটি কমিউনিটির জন্য নতুন ও ভালো কিছু বয়ে আনবে। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতেও যে আইটিবিষয়ক চর্চা হয়, এটা পুরো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরায় এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।

স্পিকার হিসেবে কারা থাকছেন কার্নিভ্যালে

হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি। অতিথি হিসেবে থাকবেন শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রামার, সব ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা, তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক লেখকসহ ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং খাতের আরও অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে

গত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবার আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজনের ফলে তরুণদের আগ্রহ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রাক্‌-নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় আগ্রহীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

প্রযুক্তিনির্ভর পেশা গড়তে এবং সম্ভাবনাময় এই খাত সম্পর্কে জানার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। অংশগ্রহণকারী সবার জন্য থাকবে তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবসা কিংবা পেশা গড়ার নানা দিকনিদের্শনা ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার সুযোগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দরিদ্র নারীদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে: বিএনপিএস
  • খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫
  • অবশেষে করাচিতে উড়ল ভারতের পতাকা