Samakal:
2025-04-19@15:12:02 GMT

ছাতা ও ছোট্ট মেয়ের গল্প

Published: 21st, February 2025 GMT

ছাতা ও ছোট্ট মেয়ের গল্প

এক বৃষ্টির দিনে একটা কালো ছাতার মধ্যে ছোট্ট এক হলুদ ছাতা ঢুকে বসে ছিল। হলুদ ছাতার মধ্যে ছিল সুন্দর একটা হলুদ ফুলের নকশা। এই ছাতাটা ছিল একটা ছোট্ট মেয়ের। মেয়েটি খুব ভালো ছিল আর সুন্দর। একদিন বৃষ্টির দিনে ছোট মেয়েটি ওই হলুদ ফুলের ছাতাটি নিয়ে বের হলো। বাইরে সবদিকে তখন কেবল কালো ছাতা। একমাত্র মেয়েটিই হলুদ ছাতা নিয়ে বের হয়েছে। সে যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলো, তখন দেখলো, একটা গাছে ছাতার মতো দেখতে সুন্দর একটা ফুল। সে ওই ফুল নিতে পারলো না। তাই মেয়েটা মন খারাপ করে বাসে উঠে পড়লো।
বাসটাতে তখন কেউ ছিলো না। মেয়েটা একা একটা সিটে বসলো। হলুদ ছাতাটা পাশে রাখলো, কিন্তু তার হ্যান্ডল ধরে ছিলো। মেয়েটা কখন মন খারাপ করে বসে ঘুমিয়ে পড়লো বুঝতে পারে না। হঠাৎ সে দেখলো, একটা হলুদ বেলুন বাসের জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। মেয়েটা জানালা ভালো করে খোলার সাথে সাথে বেলুনটা বাসের ভেতরে ঢুকে গেল ফেটে। সঙ্গে সঙ্গে বেলুন থেকে কতগুলো প্রজাপতি বের হয়ে হাওয়ায় ভাসতে লাগলো। মেয়েটা দেখলো, সে যেন আর বাসে নাই। সে যেন হলুদ ছাতা নিয়ে এক অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে। সেখানে মেয়েটা তার হলুদ ছাতা খুলে দিলো। ছাতা ধরে ভাসতে ভাসতে মেয়েটা দেখলো একটা জায়গায় খুব সুন্দর চাঁদ আর তারা। চাঁদের জায়গাটা কী সুন্দর আর ঝকঝকে। তারাটাও খুব সুন্দর। হঠাৎ মেয়েটার হাত থেকে ছাতাটা পড়ে গেলো। ওমনি সে আস্তে আস্তে নামতে থাকলো নিচের দিকে।
মেয়েটা ভেবেছিলো ও পড়ে যাবে। দেখলো, একটা একটা করে সিঁড়ি তৈরি হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মেয়েটার ঘুম ভেঙে গেলো। তখন মেয়েটা দেখলো, বাসে ওর পাশেই রাখা ছাতাটা। কোলে পড়ে আছে রাস্তায় দেখা ফুলটা। মেয়েটা ফুল হাতে নিয়ে বাইরে দেখলো, কী সুন্দর আকাশ। সুন্দর বাতাস বইছে, একটা পাখি ডাকছে। এখানেই গল্পটা শেষ হলো। 
বয়স : ১+২+২+৩ বছর; দ্বিতীয় শ্রেণি, কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল দ ছ ত স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ