Samakal:
2025-04-24@22:03:56 GMT

ছড়া-কবিতা

Published: 21st, February 2025 GMT

ছড়া-কবিতা

মাতৃভাষা দিবস  আয়োজন

গতকাল ছিলো একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। জগতের সকল ফড়িং সোনার পক্ষে ভাষাশহীদদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা...

 

স ন জি ত   দে  
তুমি যে বর্ণমালা 

তোমরা রয়েছো ইতিহাস হয়ে অবারিত মনে প্রাণে
তোমরা থাকবে লাখো বছরের গল্পে-উপাখ্যানে।
একুশ তোমাকে ভুলতে কি পারি? তুমি যে বর্ণমালা
মিছিলে মিছিলে সাজিয়েছি তাই আজকে বরণডালা। 

তুমি এসেছিলে কৃষ্ণচূড়ার নিমকালো ডালে লাল
তুমি বাঙালির প্রতিদিনকার স্বকাল সর্বকাল।

ছড়িয়েছে ফুল শহিদ বেদিতে মিছিলে মিছিলে পথে
প্রেরণা পেয়েছে সবকিছু সব ছুটেছে স্বপ্নরথে।
হাঁটতে হাঁটতে একাত্তরের দরজায় দিলে টোকা
‘পাকি’রা তখন উন্মাদনায় বনে গিয়েছিল বোকা 

সবকিছু এলো একুশ থেকেই প্রেরণা একুশ তুমি 
আঁধার তাড়াতে মায়ের ভাষাকে বারে বারে শুধু চুমি।
 

শা শ্ব ত  দে  
আমি যদি পাখি হতাম 

আমি যদি পাখি হতাম
যখন খুশি উড়ে যেতাম
নিজে বুনতাম নিজের বাড়ি
নীল আকাশটা দিতাম পাড়ি।

বয়স : ২+২+৩+৪ বছর; ষষ্ঠ শ্রেণি, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা 

আ ল ম গী র  ক বি র  
বর্ণ নিয়ে খেলা 

ফ লিখলাম খাতার পাতায় 
মজার ব্যাপার একি!

লাল রঙের এক ফুল ফুটেছে 
অবাক চোখে দেখি!

আ লিখতেই আকাশ দেখি
হাতছানিতে ডাকে,

মেঘ থেকে আজ রং করে ধার
রঙের গুঁড়ো মাখে!

ব লিখতেই অমনি দেখি
বোন দাঁড়িয়ে পিছু, 

বোনের হাতে হাওয়াই মিঠাই 
দেবে আমায় কিছু? 

ম লিখতেই মায়ের মুখে
দেখি খুশির মেলা, 

এই না খেলায় কত মজা
বর্ণ নিয়ে খেলা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইবলিস জিন না ফেরেশতা

মানুষ সৃষ্টির আগে আল্লাহর সৃষ্টিতে ছিল ফেরেশতা ও জিন। ইবলিস আগুনের তৈরি। থাকত ফেরেশতাদের সঙ্গে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করত। ফলে ইবলিস জিন নাকি ফেরেশতা—এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি যখন ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে সিজদা করো; তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সেজদা করল। সে অমান্য করল ও অহংকার করল । তাই সে অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৩৪)

 ইবলিসকে সেজদা করতে বলার কারণ

ইবলিসকে কেন ফেরেশতাদের সঙ্গে সেজদা করতে আদেশ করা হলো, সে কি ফেরেশতা? আল্লাহতায়ালা আদমকে সৃষ্টির আগেই ফেরেশতাদের আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন।

আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং আমি যখন আদমের সৃষ্টি সম্পন্ন করব এবং তার মধ্যে রুহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেও’ (সুরা সাদ, আয়াত: ৭২)। তখন ইবলিস সেই মজলিশেই উপস্থিত ছিল। তাই ইবলিস ফেরেশতা না হলেও সে ওই আদেশের অন্তর্ভুক্ত হবে।

আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩

ইবলিস জিন হওয়ার প্রমাণ

ইমাম রাজি (রহ.) বলেন, ইবলিস জিনদের একজন, তার মৌলিক উপাদান আগুন। এ জন্য তিনি তিনটি দলিল উপস্থাপন করেছেন।

এক. ইবলিসের সৃষ্টি আগুন থেকে। কোরআনে এসেছে, ইবলিস বলেছে, ‘তুমি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছ আর তাকে (আদমকে) সৃষ্টি করেছ কাদা মাটি দিয়ে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১২)

দুই. ইবলিসের ছেলেমেয়ে আছে, সে বংশবিস্তার করে। ফেরেশতারা এর থেকে মুক্ত। তাদের স্ত্রী-সন্তান নেই। তাদের মধ্যে নেই নারী-পুরুষের বিভাজনও। অথচ আল্লাহ ইবলিস সম্পর্কে বলেছেন, ‘তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে ওকে ও ওর বংশধরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করছ?’ (সুরা কাহফ, আয়াত: ৫০)

তিন. ফেরেশতারা আল্লাহর সব আদেশ মেনে চলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তাদের (ফেরেশতাদের) যা আদেশ করেন তা অমান্য করে না এবং যা আদেশ করা হয় তা-ই করে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৬) আল্লাহ কোরআনে অধিকাংশ স্থানে ইবলিসকে ‘শয়তান’ বলে সম্বোধন করেছেন। শয়তান শব্দটি দিয়ে কট্টরভাবে অবাধ্য হওয়াকে বোঝায়। (আত-তাফসিরুল কাবির, ফখরুদ্দিন রাজি, ২/৪২৯-৩০)

আরও পড়ুনসুরা আর রাহমানে জিন ও মানবজাতি উভয়কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে১০ নভেম্বর ২০২৩

তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াহীন আগুন থেকে’ (সুরা রহমান, আয়াত: ১৫), আর ফেরেশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নুর বা আলো থেকে (মুসলিম, হাদিস: ২,৯৯৬)।

ইবলিস কোন শ্রেণির জিন

ইবনে আব্দিল বার (রহ.) বলেছেন, জিনদের বিভিন্ন শ্রেণি রয়েছে, ১. সাধারণ জিনদের বলা হয় জিন্নি। ২. যেসব জিন মানুষের সঙ্গে বাসাবাড়িতে অবস্থান করে, তাদের বলা হয় আমির। ৩. যেসব জিন বাচ্চাদের সামনে আবির্ভূত হয়, তারা আরওয়াহ। এটি রুহ শব্দের বহু বচন। ৪. যেসব জিন খারাপ হয়ে যায় এবং মানুষের ক্ষতি করতে চায়, তারা শয়তান। ৫. যেসব শয়তানের দুষ্কৃতি খুব বেড়ে যায়, তাদের বলে মারিদ। ৬. যারা শক্তিশালী ও দুশ্চরিত্র হয়ে ওঠে, তাদের বলা হয় ইফরিত। (আত-তামহিদ, ইবনে আবদিল বার, ১১/১১৭-১১৮)

আরও পড়ুনইবলিসের কাহিনি১২ মে ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ