ট্রাক থেকে ঝরে পড়া বালুর স্তর সড়কে
Published: 21st, February 2025 GMT
তাহেরুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বাইসাইকেল চালিয়ে শহরের রেলগেট থেকে সাঁড়াগোপালপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক থেকে রাস্তায় ঝরে পড়া বালুর আস্তরণে চাকা পিছলে ইজিবাইকের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে পাতিবিলের কিনারায়। অল্পের জন্য তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। অন্য যানবাহনের যাত্রীরা তাঁকে তুলে পাঠান বাড়িতে।
ঈশ্বরদীর টিপু সুলতান, উপজেলা, পাকশি পেপার মিল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। এতে শিক্ষক তাহেরুলের মতো বিপদে পড়ছেন অনেকে। জানা গেছে, বালু বহনকারী ট্রাক, ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে ঝরে পড়া বালু রাস্তায় জমতে জমতে পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে।
এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে জানা গেছে, পদ্মা নদী থেকে ট্রাকে সড়কপথে বহন করা বালু ঝরে পড়ে বিভিন্ন সড়ক এখন বালুময় হয়ে গেছে। পাকা সড়ক ঢাকা পড়েছে বালুর আস্তরণে। চাকা পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
টিপু সুলতান রোডে চলাচলকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে এ সড়ক ভাঙা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বালু বহন করায় ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়ে। এতে বালু জমে সড়ক ঢাকা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইজিবাইকচালক বদরুল আলমের ভাষ্য, বালুতে চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বালু না সরানো হলে এবং ট্রাকে অতিরিক্ত ভার বহন বন্ধ করা না হলে এ অবস্থার সমাধান হবে না।
পদ্মা নদী থেকে বালু ভর্তি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ফুট বালু সড়কে ঝরে পড়ে বলে জানান ট্রাকচালক জামাল হোসেন। আরেক চালক সামসুল আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে বারবার অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বালু ঝরে পড়ে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালু লোড করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঝরে পড়ার পরও ট্রাকের আকার অনুযায়ী বালু থাকে।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, বালুতে সড়কে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা জানা ছিল না। ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি আলাপ করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিল
জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
উমামা ফাতেমা বলেন, এনসিপি নতুন পলিটিক্যাল কালচারকে ধারণ করতে পারবে। এনসিপি নারীদের সামনে নিয়ে এসেছে যেটা নয়া রাজনীতির বন্দোবস্তেরই অংশ। এনসিপি নারীদের ইনক্লুসিভিটি নিয়ে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর চার্জশিট থেকে অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কার কাঠামোর যে পরিবর্তন তার বিরোধিতা করার অর্থই ফ্যাসিবাদ কাঠামোকে টিকিয়ে রাখা। রাষ্ট্রে সংস্কারের জন্যে যদি আবার প্রাণ দিতে হয় তাহলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে আসব। তবুও সংস্কার এনেই ছাড়ব।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, গণহত্যার সাথে জড়িতদের ঠিকঠাকভাবে বিচার না করলে রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার কায়েম হবে না।
জুলাইয়ের শহীদ উমরের মা বলেন, আমাদের ছেলেদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। তাদের ক্ষমতার জন্যে আমার হীরের টুকরার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আমাদের সন্তানের বিচার না করে আমরা নির্বাচন চাই না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক মোহাম্মদ এরফানুল হক, মো. রাফসান জানি রিয়াজ প্রমুখ।