বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গরুবাহী ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর দিক থেকে গরু বোঝাই একটি ট্রাক বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রমের সময় একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার বানিয়াদিঘীর গ্রামের মো.

মোজাহার (৬০) ও মো. সাফিকুল ইসলাম (৪৫), আদমদীঘি উপজেলার বড় আকিড়া এলাকার শহিদুল ইসলাম (৬০), দুপচাঁচিয়ার মাঝিপাড়া গ্রামের মেজবাহ (৩২) ও ডিপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক ময়েন সরদার (৫৫)।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক ও তিনজন স্থানীয় একটি টাইলস কারখানার শ্রমিক। তাঁরা কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলে নিহত চারজনের লাশ বর্তমানে দুপচাঁচিয়া থানায় রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে গাজায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা

রাজধানীর রমনা বটমূলে শেষ হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আজ সোমবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষের আগমুহূর্তে শিল্পী ও দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনবাসী আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহত মানুষদের স্মরণে সবাইকে এক মিনিট নীরবতা পালনের অনুরোধ করছি।’

এর আগে সূর্যোদয়ের পর পর শুরু হয় বর্ষবরণের ছায়ানটের অনুষ্ঠান। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। ছায়ানটের ৫৮তম এই অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।

বাংলা বর্ষবরণের এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এই অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে গত তিন মাস ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে চলে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ