মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন ‘মির্জাপুর এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন (মেকা)’ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১৪তম পুনর্মিলনীর দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার জমকালো আয়োজনে উদ্‌যাপিত হয়েছে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পৌঁছালে তাঁকে জিওসি, ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া, কলেজের অধ্যক্ষ, মির্জাপুর এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং অভ্যাগত অতিথিরা অভ্যর্থনা জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রধান অতিথি প্যারেডে অংশগ্রহণকারী বর্তমান ও প্রাক্তন ক্যাডেটদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে দেশ ও জাতি গঠনে ক্যাডেটদের অবদান উল্লেখ করে তাঁদের সার্বিক সফলতা ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং তাঁদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট, স্থানীয় ফরমেশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ক্যাডেটরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র জ প র ক য ড ট কল জ র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার

নিল ওয়াগনারই সবশেষ পেসার, যিনি ওভারের ৬টা বলের সবগুলো ব্যাটসম্যানের বুক তাক করে করতেন। নিউ জিল্যান্ডের এই অগ্রাসী পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। শনিবার (২৯ মার্চ) প্লাঙ্কেট শিল্ডে শুরু হওয়া নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ওটাগোর মধ্যকার ম্যাচটি এই বাঁহাতি পেসারের, নিজ দেশের ঘরোয়া আসরের শেষ ম্যাচ। যদিও এই ৩৯ বছর বয়সী পেসার ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।

ওয়াগনার আজ থেকে শুরু হওয়া চার দিনের ম্যাচে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলছেন। প্লাঙ্কেট শিল্ডের চূড়ান্ত রাউন্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস যদি ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে এই মৌসুমের শিরোপাও জিতবে তারা। তাহলে ওয়াগনারের বিদায় হতে পারে গল্পের মতো। চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তবে ওয়েলিংটন (৮২) এবং ক্যান্টারবুরি (৮০) এখনও শিরোপা জয়ের দৌড়ে রয়েছে।

ওয়াগনার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “১৭ বছর আগে আমি নিউ জিল্যান্ডে এসেছিলাম এবং এখানে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম ওটাগোর বিপক্ষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে! কাল (আজ) এই যাত্রার সম্পূর্ণ পূর্ণচক্র হবে। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ খেলব ওটাগোর বিপক্ষে। এরপর আমি বিদেশে চলে যাব এবং কাউন্টি ক্রিকেট খেলব ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিব! আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমি এই দুইটি দারুণ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি, যারা আমাকে ব্ল্যাকক্যাপ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ দিয়েছে! অনেক অসাধারণ স্মৃতি রয়েছে। আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই বছরগুলিতে আমার সঙ্গে ছিল। আমার পরিবারকেও তাদের অসাধারণ ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিব।”

আরো পড়ুন:

কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে

পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা

২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে, ওয়াগনার নিউ জিল্যান্ডে ১৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৬০টি প্রথম শ্রেণির উইকেট। গড় ছিল ২৭.০৩। এই সময়কালে দেশের মধ্যে কোন বোলারই তার চেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির উইকেট নিযতে পারেননি।

প্লাঙ্কেট শিল্ডে, ওয়াগনারের ৩৬৫ উইকেট তাকে সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারীর তালিকায় উপরের দিকেই রেখেছেন। তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল স্টিফেন বক (৪৯২), ইউওয়েন চ্যাটফিল্ড (৩৭০) এবং ডেভিড ও’সালিভান (৩৬৮)।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ