মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান
Published: 21st, February 2025 GMT
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন ‘মির্জাপুর এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন (মেকা)’ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১৪তম পুনর্মিলনীর দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার জমকালো আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পৌঁছালে তাঁকে জিওসি, ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া, কলেজের অধ্যক্ষ, মির্জাপুর এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং অভ্যাগত অতিথিরা অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রধান অতিথি প্যারেডে অংশগ্রহণকারী বর্তমান ও প্রাক্তন ক্যাডেটদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে দেশ ও জাতি গঠনে ক্যাডেটদের অবদান উল্লেখ করে তাঁদের সার্বিক সফলতা ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং তাঁদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট, স্থানীয় ফরমেশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ক্যাডেটরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র জ প র ক য ড ট কল জ র অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাইখানদের প্রার্থনা
গণহত্যার প্রতিবাদ করে জালিম ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে মজলুম গাজাবাসীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়।
গাজায় গণহত্যা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়াকাটায় মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে রাখাইন সম্প্রদায়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুক্রবার রাখাইন জলকেলি উৎসবের শুরুতে গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি: রাইজিংবিডি
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে
অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি
শুক্রবার দুপুরে (১৮ এপ্রিল) কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন রাখাইন মাঠে জলকেলি উৎসবের প্রারম্ভে সবাই দাঁড়িয়ে এই নীরবতা পালন করেন।
রাখাইনদের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় বলেও জানিয়েছেন সম্প্রদায়টির ধর্মগুরুরা।
গণহত্যা অভিযানে গাজা ও ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাখাইনদের এসব উদ্যোগ মানবতার জন্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষ।
রাখাইন জলকেলি উৎসব দেখতে আসা কলাপাড়ার আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বলেন, “আজ জলকেলি দেখতে রাখাইন মাঠে এসেছি। এখানে এসে একেবারেই অবাক হয়েছি। তারা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাজাবাসীর জন্য নীরবতা পালন করেছে।”
“নিপীড়িত গাজাবাসীর জন্য তাদের সহমর্মিতা আমাকে আপ্লুত করেছে,” বলেন হোসেন মিয়া।
মহিপুর থেকে আসা মো. আবদুস সালাম বলেন, “এমনিতেই রাখাইনদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আজ তারা গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল।”
মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ উত্তম মহাথের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাজাবাসীর জন্য প্রায়ই বিশেষ প্রার্থনা করি। শুধু গাজাবাসীই নয়, পৃথিবীর সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যুদ্ধ বন্ধ হোক- এটাই আমাদের প্রার্থনা।”
“ আমরা মানুষ হিসেবে সবাইকে সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন উত্তম মহাথের।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “গাজাবাসীর প্রতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে মানবতার সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি তারা দেখিয়েছেন, এ জন্য তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
“রাখাইন সম্প্রদায় ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও মানবতার ধর্ম সবার এক। তাই রাখাইন সম্প্রদায় এই নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের সম্প্রীতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল।”
শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাখাইন জলকেলি উৎসব, যাতে শামিল হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বিদেশিরাও।
উৎসব শুরুর দিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় রাখাইনদের। তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের আনন্দ করতে দেখা যায়। উৎসবে সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঢাকা/ইমরান/রাসেল