জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০ আসনের বিপরীতে মোট ৪৪ হাজার ২২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫১ জন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনটি আলাদা পালায় এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে; প্রথম পালায় পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা, দ্বিতীয় পালায় পরীক্ষা বেলা ১টা থেকে ২টা এবং তৃতীয় পালার পরীক্ষা বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের) অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, উদ্ভিদবিজ্ঞান,  ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, অণুজীব বিজ্ঞান, ফার্মেসি, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ মো.

গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল তিন শিফটের পরীক্ষা, পরীক্ষার্থীও বেশি। যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে লালবাগ জোনের পুলিশকে জানানো হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক পরিমল বালা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি শিফটে আলাদা প্রশ্ন হবে। এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে।

গত ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ইউন ট র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েদাবাদে যাত্রীর চাপ, বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

বাস কাউন্টারে আজ শনিবার সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। একের পর এক বাস এসে অগ্রিম টিকিটের যাত্রীর সঙ্গে কিছু আসনে নিয়মিত যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

আজ দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি ফিরতে ভিড় করছেন যাত্রীরা। তবে কয়েকটি রুটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

পর্যাপ্ত বাস থাকলেও বরিশাল অঞ্চলের এসি গাড়িতে আসনপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকা ও নন–এসি গাড়িতে আসনপ্রতি ৯০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এই রুটে নন–এসিতে ৬০০ টাকা ও এসি বাসে ৯০০ টাকায় যেতে পারতেন যাত্রীরা।

বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন বাসের সহকারী ও কাউন্টার মাস্টার। পটুয়াখালীর এক যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে চাইলে বাস কাউন্টার মাস্টার জানান, ‘এসি একদাম ১ হাজার ১০০ টাকা ও নন–এসি বাসে একদাম ৯০০ টাকা।’

বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে ঢাকা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ফেনী রুটের বাসেও। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর রুটে স্বাভাবিক সময়ে আসনপ্রতি ভাড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা থাকলেও এখন সেটি ৬০০ টাকা। তবুও টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এসব রুটের এসি বাসেও ৮০০ টাকার নিচে কোনো টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।

বাসগুলোর কাউন্টার মাস্টাররা জানান, ‘বাসের সংকট নেই। তবে ফিরতি ট্রিপে ফাঁকা আসনে গাড়ি চলে। তাই দাম কিছুটা বাড়তি।’

পটুয়াখালীর উদ্দেশে যেতে রাজধানীর মৌচাক থেকে এসেছেন রিমা আক্তার। তিনি জানান, অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তবু ২৫০ টাকা বেশি খরচ হয়েছে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান রুটের গাড়িগুলোয়ও একই চিত্র দেখা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সায়েদাবাদে যাত্রীর চাপ, বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ