খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েটে) ১৮ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা এখনো ৬ দফা দাবি আদায়ে অনড়।

ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবি আদায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। 

কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আয়োজন করে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ শিরোনামে ছবির প্রদর্শনী। 

প্রদর্শনীতে শতাধিক ছবি স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীর এসব ছবিতে ফুটে উঠেছে বহিরাগতদের হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও হামলাকারীদের ছবি। শুধু আহত এবং হামলাকারীদের ছবি নয়, প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে সংঘর্ষ পরবর্তী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনের ছবিও। 

শুক্রবার বিকালে ছবির প্রদর্শনীতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী সহপাঠীদের রক্তাক্ত আহতদের ছবি দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন। 

ছবির প্রদর্শনীতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, “হামলার ঘটনা নিয়ে যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়। তথাকথিত বহিরাগতরা যারা কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ঢোকানোর অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। ছবিতে বহিরাগত বেশ কিছু হামলাকারীদের ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো প্রদর্শিত হয়েছে।” 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র হাতে হামলাকারীরা এখনও ক্যাম্পাসের আশেপাশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” 

শিক্ষার্থীরা সংগৃহীত হামলাকারীদের ছবি দেখে অতি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের জের দাবি জানান। 

হামলায় আহত একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “নিরস্ত্র নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্রধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর ফলে শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রদর শ

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব। 

পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
  • ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা
  • ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের
  • বাংলাদেশকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
  • লেনিন কেন এখনও জরুরি
  • মিয়ানমার জান্তার মরিয়া চেষ্টা
  • হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম