চীনের নাগরিক হত্যায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
Published: 21st, February 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় ভাড়া বাসায় চীনের নাগরিক ওয়াং বু (৩৭) হত্যার ঘটনায় দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। রাজধানী থেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গতকাল শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
গত বুধবার উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডে বাসায় ওয়াং বু হত্যার শিকার হন। বৃহস্পতিবার ওই বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চীনের দুই নাগরিক মাইক্রোবাসে বাসার সামনে নামেন। কিছুক্ষণ পর তারা বাসা থেকে ওই গাড়িতে করেই বেরিয়ে যান।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থলে আসা-যাওয়া করা মাইক্রোবাসের চালক ও সহকারীকে হেফাজতে নিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে– ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর তারা দেশে (চীন) ফিরে গেছেন। তবে তারাই যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ওই ঘটনায় চালক ও সহকারী জড়িত কিনা, তা জানতে তদন্ত চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিহত চীনের নাগরিকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকার পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বাসায় ওয়াং বুকে হত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। শনিবার (আজ) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ন ন গর ক
এছাড়াও পড়ুন:
চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, ফের মহামারির শঙ্কা
মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এমন নতুন একটি করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে চীনে। এইচকেইউ৫-কোভ-২ নামের এই ভাইরাসের সঙ্গে মহামারি ভাইরাসের বেশ মিল রয়েছে। এতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, মাত্র দুই বছর আগে শেষ হওয়া কোভিডের পর আরেকটি মহামারির কবলে পড়তে পারে বিশ্ব।
চীনের উহানের ‘ইনস্টিটিউ অব ভাইরালজি’ নতুন স্ট্রেনটি বাঁদুরের মধ্যে পেয়েছেন। এছাড়া এটির সঙ্গে মার্সের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মার্স করোনা ভাইরাস বেশ শক্তিশালী একটি ভাইরাস, যেটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই মারা যায়।
নতুন করোনা ভাইরাসটির সন্ধান দিয়েছেন সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি। করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন বলে তিনি ‘ব্যাটওমেন’ নামে পরিচত। নতুন ভাইরাসটির বিস্তারিত তথ্য একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন তিনি।
গবেষণায় দেখা গেছে এইচকেইউ৫-কোভ-২ নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের কোষে এমনভাবে প্রবেশ করে যেমনটি করত কোভিড-১৯। সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটিতে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
মার্স হলো শ্বাসযন্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। যেটি প্রাণী থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। এটির কারণে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, বমি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রাণহানির কারণও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত মার্স ভাইরাসে মাত্র দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনের দেহেই এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৪ সালের মে মাসে। এবং তারা দুজনই মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন নেই।
নতুন এইচকেইউ৫-কোভ-২ ভাইরাসটি মারবেকোভাইরাস পরিবারের একটি জীবাণু। মারবেকোভাইরাস পাওয়া গেছে মিঙ্ক এবং প্যাঙ্গোলিন নামের দুটি প্রাণীর মধ্যে। ধারণা করা হয় এই প্রাণীর মাধ্যমে বাঁদুর ও মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি আসে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
বিএইচ