রাতের ভোটের এসপিদেরও ওএসডি-অবসরে পাঠানো হবে: উপদেষ্টা আসিফ
Published: 21st, February 2025 GMT
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারদেরও (এসপি) ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।
শুক্রবার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি পোস্টে আসিফ মাহমুদ এ কথা বলেন।
বিগত বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সময় দায়িত্বে থাকা সাবেক জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ও ওএসডি করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.
এরপর আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসপিদের বিষয়েও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড নয়। স্ট্যাটাসটির বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে।
এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না।
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর।
অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে।
‘মাসুদ রানা’ সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি।