শুরু হলো মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব
Published: 21st, February 2025 GMT
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার শুরু হলো মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব। দেশব্যাপী প্রযোজনাকেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা থেকে আটটি বিভাগের নির্বাচিত ১৬টি নাটক নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্যোৎসব চলবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন শহীদজননী আইনুন নাহার (শহীদ নাঈমা সুলতানার মা)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র আসিফ মুনীর। সভাপতিত্ব করেন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চস্থ হয় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা ‘ছিন্নমুকুট’। সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশ’ অবলম্বনে নাটকটির রূপান্তর ও নির্দেশনায় ছিলেন মো.
শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ‘নোনা কথন’ মঞ্চায়ন করবে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। নাটক রচনা ও নির্দেশনা ছিলেন এস এম লাতিফুল খাবীর। রাত আটটায় ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ মঞ্চায়ন করবে ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশনায় থাকবেন ইরা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনীরউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ট য ৎসব এক ড ম র শ ল পকল
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়ক বন্ধ করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ঝাড়ুমিছিল, যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির নতুন ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মিরসরাই উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ঢাকামুখী লেনে ঝাড়ু হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা।
মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কিছু দূর গিয়ে মিরসরাই সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে ঢাকামুখী লেনে ২০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ দিকে অন্তত ২ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীরা সাবেক মিরসরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারী বলে জানা যায়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মেজবাউল আলম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুল হক, ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মঞ্জুরুল হক, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ইয়াছিন মিজান, হিঙ্গলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুক আলম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে আন্দোলন–সংগ্রামে যেসব নেতাকর্মী অগ্রগামী ছিলেন, তাঁদের বঞ্চিত করে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার সুবিধাবাদী, চাকরিজীবী ও আওয়ামী লীগের সহযোগীদের পদে রেখে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। তাঁরা এই কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে প্রহসনের এই কমিটি বিলুপ্ত করে উপজেলার সব ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন কমিটির দাবি জানান।
১৮ মার্চ বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের পুনর্গঠন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, বারিয়ারহাট ও মিরসরাই পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মিরসরাই উপজেলা, বারিয়ারহাট ও মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন এ কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় আবদুল আওয়াল চৌধুরী ও সদস্যসচিব মনোনীত হন আজিজুর রহমান চৌধুরী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, ‘দলের কোনো ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করলে সেখানে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে, এটি স্বাভাবিক। আগের কমিটি দায়িত্ব পালনে কিছুটা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের পুনর্গঠন কমিটির পরামর্শে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছি। নতুন কমিটিতে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অতীতের অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের বিষয় বিবেচনা করেই পদ দেওয়া হয়েছে। আর মিছিল–সমাবেশ করতে গিয়ে মহাসড়ক বন্ধ রাখা সমীচীন নয়। বিএনপির কোনো অংশ এমনটি করে থাকলে আমরা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসড়কে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশের বিষয়ে আমাদের কোনো অনুমতি নেয়নি কেউ। সমাবেশের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। লোকবল কম থাকায় আমরা সেখানে বাধা সৃষ্টি করতে পারিনি। তবে খুব বেশি জনভোগান্তি না করেই তাঁরা দ্রুত সমাবেশ শেষ করেছেন।’