দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের আগুন
Published: 21st, February 2025 GMT
দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের স-মিল ও গাড়ির গ্যারেজে আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ।
আরো পড়ুন:
৩২ নম্বরের বেজমেন্টে পানি ছাড়া ‘কিছু পাওয়া যায়নি’
‘ট্যানারি গুদামের ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না’
তিনি বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ৩ ইউনিট কাজ করলেও পরবর্তীতে একে একে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।”
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে এক কোণে আগুন লাগে। পরবর্তীতে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে খিলগাঁও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, “খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের পাশে ও খিলগাঁও মডেল কলেজের উল্টো পাশে টুটুলের ওয়ার্কশপ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই আগুন টুটুলের ওয়ার্কশপসহ মোট ৯টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আগুন লাগার পর কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ার্কশপে থাকা বিভিন্ন ধরনের মালামাল আগুনের কারণে বিস্ফোরিত হয়।”
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলার অজানা স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ
ইবনে বতুতা লিখেছেন, বাংলা সবুজঘেরা বিশাল এক দেশ। ত্রিশ িকউবিট লম্বা মিহি সুতার তৈরি সুন্দর কাপড় সে দেশে মাত্র দুই দিনারে বিক্রি হয়। এখানকার এক সোনার দিনার মরক্কোর আড়াই দিনারের সমান। বাংলার সুলতান ফখরুদ্দীন সন্দেহাতীতভাবে চমৎকার একজন শাসক।
ট্রাভেলস অব ইবনে বতুতায় বর্ণিত এই শাসকের প্রকৃত নাম ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ। তিনি ছিলেন সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খানের একজন সাধারণ সেনা, ‘বর্ম রক্ষক’ বা সিলাহদার ছিল তাঁর পদবি। ১৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দে বাহরাম খানের মৃত্যু হলে বর্ম রক্ষক ফখরুদ্দীন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সোনারগাঁয়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর প্রাপ্ত মুদ্রার তারিখ ৭৩৪ থেকে ৭৫০ হিজরি, অর্থাৎ তিনি প্রায় ১৬ বছর রাজত্ব করেছেন। ফখরুদ্দীন সোনারগাঁকে ঘিরে পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট নিজের অধিকারভুক্ত করেছিলেন বলে সমকালীন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। এত দিন ফখরুদ্দীন মুবারকের একটিমাত্র স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ ছিল, যা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত। গোরন গোয়েনকার ক্যাটালগে অবশ্য আরেকটি স্বর্ণ কোয়ার্টার টাংকার উল্লেখ আছে।
১৮-২০ এপ্রিল জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী চিত্রশালায় ‘ওল্ড ঢাকা কালেক্টরস সোসাইটি’র উদ্যোগে মুদ্রা প্রদর্শনী ‘ঢাকা নিউমিস শো ২০২৫’-এ ফখরুদ্দীন মুবারক শাহর আরেকটি স্বর্ণমুদ্রা প্রদর্শন করা হয়। সংগ্রাহক মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা মুদ্রাটি থেকে এই মুদ্রায় রয়েছে ভিন্নতা, যা ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে।
মুদ্রাটির সংগ্রাহক মুহাম্মদ শামসুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত স্বর্ণমুদ্রাটির সন ৭৩৪ হিজরি, তথা ফখরুদ্দীন মুবারক শাহর সিংহাসনে আরোহণের সন হওয়ায় ধারণা করা হতো, সেটি সিংহাসনে আরোহণের স্মারক মুদ্রা হতে পারে। কিন্তু পরবর্তী স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কারের ফলে বোঝা যায়, তিনি অন্য বছরেও একাধিক স্বর্ণমুদ্রা প্রচলন করেন।’ মুহাম্মদ শামসুদ্দিনের সংগ্রহে থাকা মুদ্রাটি সম্ভাব্য ৭৩৮ হিজরির।
মুহাম্মদ শামসুদ্দিনের সংগৃহীত ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের স্বর্ণমুদ্রা