খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’—এসব স্লোগান দিতে থাকেন। তালা দেওয়ার পর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে ইতিমধ্যে বর্জন করেছেন। তাঁদের ছয় দফা দাবি এখনো পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তালা দিয়ে দেন।

আরও পড়ুনকুয়েটে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি দিয়ে প্রদর্শনী১২ মিনিট আগে

এর আগে বিকেলে ‘রক্তাক্ত কুয়েট ১৮.

০২.২৫’ শিরোনামের ছবির প্রদর্শনী করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্র কল্যাণ কেন্দ্রে এই প্রদর্শনীতে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি ও শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির আন্দোলনের বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপাচার্য তাঁর বাসভবন ছেড়ে ঢাকায় রওনা দেন। তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। উপাচার্যের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা আগে থেকেই ঢাকায় ছিলেন। সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের ক্যাম্পাসের বাসভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভের পর তালা ঝুলিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালককে ইতোমধ্যে বর্জন করেছেন। এছাড়া তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে এই ৩টি পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু তাদের ৬ দফা দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তালা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, শুক্রবার তালা লাগানোর সময় উপাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যরা কেউ বাসায় ছিলেন না। উপাচার্যের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা আগে থেকেই ঢাকায় ছিলেন। আর উপাচার্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় যান।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে দুপুরে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। বৃহস্পতিবার ডাক্তার দেখানোর জন্য আমি ঢাকায় এসেছি। সন্ধ্যার পর একজন নিউরোলজিস্ট দেখিয়েছি। তিনি একজন কার্ডিওলজিস্টকে দেখাতে বলেছেন। শনিবার সকালে তাকে দেখাবো, এরপর ক্যাম্পাসে ফিরব।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাসে ‘ছবিতে প্রতিবাদ, দাবি ঐক্য’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধশত আহত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার কুয়েট ভিসির বাসভবনে তালা শিক্ষার্থীদের
  • কুয়েট উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা