কুয়েট উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
Published: 21st, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’—এসব স্লোগান দিতে থাকেন। তালা দেওয়ার পর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে ইতিমধ্যে বর্জন করেছেন। তাঁদের ছয় দফা দাবি এখনো পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তালা দিয়ে দেন।
আরও পড়ুনকুয়েটে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি দিয়ে প্রদর্শনী১২ মিনিট আগেএর আগে বিকেলে ‘রক্তাক্ত কুয়েট ১৮.
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপাচার্য তাঁর বাসভবন ছেড়ে ঢাকায় রওনা দেন। তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। উপাচার্যের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা আগে থেকেই ঢাকায় ছিলেন। সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট থেকে অধ্যাপক মুহসিনকে অব্যাহতি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, মুহসিন উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক, যিনি জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের একজন। তাঁকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণ অনিয়ম ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিজ আল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীন আমাদের পক্ষে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ব্যক্তিগত আক্রোশপ্রসূত। তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তখন অব্যাহতি দেওয়া যেত। এখন দেওয়া মানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা।’
ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আতিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের শিক্ষককে যদি মূল্যায়ন করা না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের দোসরসহ নানা অভিযোগ তুলে তাঁকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন। ওই সময় উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা চলছিল। সভায় উপস্থিত না থেকে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং উপাচার্য সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।