উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারদেরও (এসপি) ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।

আজ শুক্রবার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি পোস্টে আসিফ মাহমুদ এ কথা বলেন।

বিগত বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সময় দায়িত্বে থাকা সাবেক জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ও ওএসডি করার বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হয়। সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.

মোখলেস উর রহমান। এরপর আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসপিদের বিষয়েও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আরও পড়ুনবিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের ২২ জন বাধ্যতামূলক অবসরে, অন্যদের ওএসডির সিদ্ধান্ত২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিবন্ধিত সব দল অংশ নিলেও এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতেই হয়ে যায়। ওই নির্বাচন ‘রাতের ভোট’ বলে পরিচিতি পায়। আর গত বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দল অংশ নেয়নি। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের বেশির ভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয় দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।  চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে। 

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। 
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর। 

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে। 
‘মাসুদ রানা’  সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বাংলাদেশে মাসাকাদজার পছন্দ ‘বাটার চিকেন’
  • বাবার চেক বুঝে নিতে এফডিসিতে হৃদয়
  • এবার শাটডাউনের হুঁশিয়ারি পটুয়াখালী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসদের
  • এবার ইনজুরিতে কতদিনের জন্য ছিটকে গেলেন নেইমার? 
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে: সোহেল রানা
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে
  • সড়কে রক্তের দাগ
  • অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি