চাঁদাবাজি কেন সহ্য করব, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: জামায়াত আমির
Published: 21st, February 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদীদের তাড়িয়েছে। কিন্তু তাদের জ্বালা থেকে এখনও আমরা মুক্ত হতে পারিনি। ফ্যাসিবাদীরা যেসব অপকর্ম করত, একই কাজ যদি করি, তাহলে আমিও ফ্যাসিবাদী।’ ৫ আগস্টের পরও চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজিতে দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বাড়ে। এর চাপ রাস্তার একজন ভিক্ষুক ভাইবোনের ওপরও পড়ে। আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। এই অন্যায়কে কেন নীরবে সহ্য করব? সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের স্বীকৃতির দাবি তুলে বলেন, ইতিহাসের নামে গল্প তৈরি করা হয়েছে। যাকে ভালো লাগে না, তাঁর অবদান ইতিহাস থেকে বাদ দিতে পারেন না।
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, জাতিকে স্বস্তিতে বাঁচতে দিন। আবার যাতে ফ্যাসিবাদের নতুন ধারা তৈরি না হয়।
মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সেক্রেটারি ড.
এর আগে জামায়াত আমির মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পল্টনে। সেখানে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাহসী মুখ সানজিদা চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, “মেয়েটি বলেছিল ‘পেছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা’। এই সাহসী তরুণরা দেশকে এগিয়ে নেবে।”
এ ছাড়া মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা ছিল মহানগর উত্তর জামায়াতের। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ড শ ফ ক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পহেলা বৈশাখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা
ঢোলের তালে মুহুর্মুহু আঘাত, প্রতিরোধের খটাখট শব্দে মুখরিত হয়ে জমে উঠেছে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। চারদিকে উৎসুক জনতা ভিড় করে উপভোগ করে খেলাটি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে আনতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন এ লাঠি খেলার আয়োজন করে।
সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ লাঠি খেলা। খেলায় লাঠি খেলার পাশাপাশি বুকের উপর ইট রেখে মাটি কাটার কোদাল দিয়ে আঘাত করে পরপর তিনটি ইট ভাঙা হয়। যা ছিল খেলার অন্যতম আকর্ষণ। উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আবাদপুর এবং পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রাম থেকে দক্ষ লাঠিয়ালরা খেলা প্রদর্শন করেন।
খেলা দেখতে আসা রুপক হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আধুনিক যুগে এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত হওয়া প্রয়োজন। খেলা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি।
মনির হোসেন নামের এক লাঠিয়াল বলেন, আমাদের এ দেশীয় খেলাগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে প্রতিনিয়ত গ্রামগঞ্জে এধরনের লাঠি খেলা হতো। আমরা টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে খেলতাম। এখন আর আগের মতো খেলা হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। এ খেলাগুলোকে রক্ষা করা দরকার।
আয়োজক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ আয়োজন। খেলাটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে।