২১শে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা  দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৫২'র ভাষা আন্দোলনের শহীদসহ  মুক্তি সংগ্রামের সকল লড়াকুদের স্মরণে প্রভাত ফেরি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় জেলা কার্যালয় থেকে র‍্যালি শুরু করে বি বি রোড প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌছায়৷ পরবর্তীতে শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ  সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধাসহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও  নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির আহবায়ক মৌমিতা নূর, সদস্য সচিব আবিদ রহমান, ভোলাইল শাখার আহ্বায়ক মাহাদি হাসান,যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্নীল শোভন, তোলারাম কলেজ সংগঠক রাইসা ইসলাম, মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা সহ অন্যান্য কর্মী-সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা বলেন, " মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই জন্ম নিয়েছিল প্রতিবাদ, আর সেই প্রতিবাদই আমাদের সংগ্রামের শক্তি দিয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনা আজও আমাদের পথ দেখায়, অধিকার আর ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেয়।

 

ভাষা শহীদরা শুধু ভাষার জন্য নয়, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজও ছাত্রসমাজ সেই স্বপ্ন নিয়েই লড়ছে— সবার জন্য সমান শিক্ষা, গণতন্ত্র আর ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য।"

 

শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মানবিকতার বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, '২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু স্মরণ করার দিন নয়, এটি নতুন শপথ নেওয়ার দিন— অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, আপামর ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে ভাষার মর্যাদা রক্ষা, মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন লড়াই অব্যাহত রাখবে।"

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বেরোবিতে হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন আর রশিদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জুমাতুল-বিদা, শব-ই-ক্বদর ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো আগামী ২৮ মার্চ (শুক্রবার) থেকে আগামী ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এদিন সকাল ১০টায় যথারীতি হলসমূহ খুলে দেওয়া হবে।

এদিকে হঠাৎ করে হল বন্ধের ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, কোনো ছুটিতেই আবাসিক হল বন্ধ হয় না। অনেকের বাসা দূরে, অনেকেই আবার চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেজন্য ঈদের ছুটিতে তারা বাসায় যান না। এমন সময় হল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বেশিরভাগ মেস বন্ধ। ঈদের তিনদিন আগে কোথায় যাবেন তারা। এছাড়া হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও থাকেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পেইজে হল বন্ধের নোটিশটি পোস্ট করা হলে তীব্র সমালোচনা করেন শিক্ষার্থীরা। 

ওই ফেসবুকে পোস্টে মিলন চন্দ্র বর্মন নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “তাহলে বেরোবির শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারগুলোও বন্ধের নোটিশ দেওয়া হোক। যতসব, ছাগল দিয়ে ভর্তি।”

মাইদুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই সমর্থন করছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি যে, তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িত যাবে কি না? অনেকেই বলেছে, তারা হলেই অবস্থান করবে। হলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী থাকেন। প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ ঈদ উৎসবে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাজেট থাকে। হল প্রশাসন সেই বাজেট নিজেদের পকেটে ভরার সুব্যবস্থা করেনি তো আবার? যদি তাই করে, তাহলে সেটা হবে চরম বৈষম্য।”

শহীদ মুখতার ইলাহী হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-সদস্য সচিব মো. নয়ন বলেন, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রথম ঈদ উপলক্ষে আবাসিক হল বন্ধ হলো। হলে অনেক দূরের শিক্ষার্থী থাকে, উপজাতি এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও থাকে। এখন ঈদের তিনদিন আগে হুট করে তাদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হলো। এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আবাসিক হল বন্ধের নোটিশ প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষ বডির সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের হলে মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী আছেন। তাও তাদের বাড়ির রংপুরের আশেপাশে। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা কাল চলে যাবেন বলে আমাদের জানিয়েছে।”

বিজয়২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ আমির শরিফ বলেন, “আমরা আগামীকাল হল বন্ধের নোটিশ দেব। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন আর রশিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে সব হল চেক করিয়েছি। দুই হলে যে কয়েকজন আছে, তারা ঈদের আগেই বাড়িতে চলে যাবে। সবাই বাড়িতে চলে গেলে তো হল এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে তো হল বন্ধ করতেই হবে। এখন এ নোটিশ দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো যারা হল ছেড়েছেন, তারা যেন ঈদের আগে হলে ফিরে না আসে। তারা হলে আসলে তো হল বন্ধ পাবে।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৯ দিনের ছুটিতে দেখুন এই ৯ সিনেমা-সিরিজ
  • পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে না'গঞ্জে ঐক্য পরিষদের বস্ত্র বিতরণ 
  • ঈদযাত্রায় চাপ বেড়েছে আকাশপথেও, টিকিটের দাম দ্বিগুণ
  • ব্যাংককে অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
  • ১৪ নং ওয়ার্ডে ইসলামী যুব আন্দোলনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • যমুনা নদীতে বারুণীর স্নানে পুণ্যার্থীর ঢল
  • বেরোবিতে হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা 
  • স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের র‌্যালি ও শ্রদ্ধা
  • স্বাধীনতা দিবসে মহানগর বিএনপির বিশাল র‌্যালি ও শ্রদ্ধা নিবেদন