এটিএম আজহারকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে: ড. হেলাল
Published: 21st, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আবুজর গিফারী কলেজ অডিটোরিয়ামে শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমীর মো.
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল বলেন ,আমার মায়ের ভাষায় কথা বলা আমার জন্মগত অধিকার। কিন্তু এ অধিকার থেকে তৎকালীন শাসকবর্গ আমাদেরকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্র ও যুব সমাজ। যার কারণে আমাদের ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় তারা। ভাষার আন্দোলনের মধ্যেই মূলত এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিজ রোপিত হয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পেরুলেও এদেশের মানুষ সে আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না। যার যতটুকু ভূমিকা ছিল সেই স্বীকৃতি রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভাষা আন্দোলন শুধু নয় ভাষার অধিকারী নয় দেশের স্বায়ত্ত শাসন দাবি করে যে স্মারকলিপি উপাদান করা হয়েছিল সেই সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জিএস অধ্যাপক গোলাম আজম। সেই ইতিহাস স্বীকৃতি আমাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না।
ড. হেলাল বলেন, স্মারকলিপি যিনি ড্রাফ্ট করেছিলেন তার নাম হচ্ছে বিচারপতি আব্দুর রহমান এবং মজলিসের পক্ষ থেকে যে আন্দোলনের সূচনা করা হয় সেই মজলিসের প্রধান ছিলেন প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম। ৫২-২১ ফেব্রুয়ারির শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যের অবসান ঘটানো। এখনো যে সকল বৈষম্য আছে সেগুলো দূর করতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণায় অনুবাদ-এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি আরেও বলেন বর্তমানে একটি দল এবং গোষ্ঠী সংস্কার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে কিন্তু জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকগণ দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেছেন সারা দেশে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি না থাকায় নাগরিক সেবা দেওয়া সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং বাংলাদেশ জামাত ইসলামী সেই মতকে সমর্থন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে উক্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. আতিয়ার রহমান ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. তাজিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।