মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)  বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন রাস্তায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আয়োজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মাঈনুউদ্দিন আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাইনুদ্দিন বলেন, বৈষম্য দুর করার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।আল্লাহ তায়লা যেন তাদের শাহাদাতের মর্যদা দান করেন।

চব্বিশ এর আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং এখনও যারা অসুস্থ  আছেন তাদের ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেন মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া কামনা করছি।

অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় অনেক বছর আগে আন্দোলন করে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন  এখনো সেই শহীদের তালিকা সঠিক ভাবে লিখিত হয় নাই। যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন নিজের জীবন দিয়েছেন সকলের নাম আসেনি।

এমনি ভাবে ভাষার জন্য ভাষার সৈনিক হিসেবে যাদের তালিকা ভুক্ত থাকার কথা তাদের নামকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে এদের মধ্যে একজনের নাম অধ্যাপক গোলাম আযম, শুধু জামায়েতে ইসলামে করার কারনেই অধ্যাপক গোলাম আযমের নামটি ভাষা সৈনিকের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিলো।

আমরা অতি সত্তর এই ভূয়া তালিকা বাদ দিয়ে নতুন করে ভাষা সৈনিকদের তালিক তৈরি করে সকল ভাষা সৈনিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন চব্বিশ এর আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের তালিকাও এখনো চূড়ান্তভাবে সরকারি ভাবে হয়নি। জামায়াতে ইসলামী তাদের তালিকা তৈরি শুরু করেছে। সুষ্ঠ ও সুন্দর তালিকা তৈরী করার দায়িত্ব জামায়েতে ইসলামী নিয়েছে।

কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের  বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তালিকা সংরক্ষন করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চব্বিশ এর আগে যারা সকল কিছু দখল করে নিয়েছিলো, চর দখল থেকে শুরু করে জমি দখল, নদী দখল, খাল দখল করেছিলো, তারা কিন্তু দেশের মানুষকে খুন, গুম করেই ক্ষান্ত হননি তারা জুলুম করেছিলো। তারা চব্বিশের আন্দোলনে দেশে থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি।

তারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান করছে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য দেশে থেকে দেশের বাইরে থেকে তরা গভীর স্বরযন্ত্র করছে। আজকে এই ভাষা দিবসে আমরা দাবি করছি যারা চব্বিশ, বছর, বিশ বছর, আঠারো বছর, যারা পনেরো বছর যারা অন্যায় অত্যাচার করছে তাদের বিচার আহবান করছি। যারা পালিয়ে আছে তাদের সবাইকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা সাইফুদ্দিন মনির, জাকির হোসেন, ফরিদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন, মাওলানা নাসির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুল কাইউম সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ হয় ছ ন র জন য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির কারামুক্ত, গাড়িবহর নিয়ে অনুসারীদের বরণ

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান সাজার মেয়াদ শেষে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তিনি।

এদিকে জাকির খানকে বরণ করে নিতে তাঁর অনুসারীরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ফোরকান ওয়াহিদ জানান, ১৯৯৪ সালের সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলার রায়ে জাকির খানের ১৪ বছরের সাজা হয়েছিল। আপিল করার পর উচ্চ আদালতে সাজা কমিয়ে আট বছর করা হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদনে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছর করা হয়। পাঁচ বছরের সাজার মেয়াদ শেষে আজ রোববার সকালে জাকির খানকে কারামুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জাকির খানের মুক্তির খবরে আজ সকাল থেকে তাঁর অনুসারীরা মোটরসাইকলে ও প্রাইভেট কারের বহর নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। নেতা-কর্মীরা ট্রাকে সাউন্ড বক্স লাগিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মোটরসাইকেলের বহর বের করেন। জেলা কারাগারের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় হয়। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে বের হন জাকির খান। এ সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি হুডখোলা গাড়িতে চড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে দেওভোগের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির খানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম খন্দকার হত্যাসহ ৪টি হত্যাসহ মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাকির খান আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শহরের দেওভোগ এলাকায় জাকির খান তাঁর বিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন। দেওভোগ এলাকার সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে হত্যা করে শহরে ত্রাস সৃষ্টি করেন। ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গোপনে দেশে ফিরে এসে রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিচয় গোপন করে সপরিবার বসবাস শুরু করেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে জাকির খানসহ সব আসামি খালাস পান।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সাজা শেষে জাকির খান কারামুক্ত হয়েছেন। তিনি ২৬টি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, সেই মামলাগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • রিয়াদ-আপনের নেতৃত্বে সদর থানা যুবদল বৈশাখী শোভাযাত্রা
  • নবর্বষকে স্বাগত জানিয়ে মহানগর যুবদলের বৈশাখী শোভাযাত্রা  
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা
  • বর্ণিল সাজে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা
  • রূপগঞ্জে দুই সাব-রেজিস্ট্রারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা : স্বামী আটক
  • নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে : জব্বার   
  • আড়াই বছর পর নারায়ণগঞ্জের জাকির খান কারামুক্ত, শোডাউন
  • নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির কারামুক্ত, গাড়িবহর নিয়ে অনুসারীদের বরণ