আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী আলোচনা সভা
Published: 21st, February 2025 GMT
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন রাস্তায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আয়োজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মাঈনুউদ্দিন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাইনুদ্দিন বলেন, বৈষম্য দুর করার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।আল্লাহ তায়লা যেন তাদের শাহাদাতের মর্যদা দান করেন।
চব্বিশ এর আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং এখনও যারা অসুস্থ আছেন তাদের ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেন মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া কামনা করছি।
অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় অনেক বছর আগে আন্দোলন করে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন এখনো সেই শহীদের তালিকা সঠিক ভাবে লিখিত হয় নাই। যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন নিজের জীবন দিয়েছেন সকলের নাম আসেনি।
এমনি ভাবে ভাষার জন্য ভাষার সৈনিক হিসেবে যাদের তালিকা ভুক্ত থাকার কথা তাদের নামকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে এদের মধ্যে একজনের নাম অধ্যাপক গোলাম আযম, শুধু জামায়েতে ইসলামে করার কারনেই অধ্যাপক গোলাম আযমের নামটি ভাষা সৈনিকের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিলো।
আমরা অতি সত্তর এই ভূয়া তালিকা বাদ দিয়ে নতুন করে ভাষা সৈনিকদের তালিক তৈরি করে সকল ভাষা সৈনিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন চব্বিশ এর আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের তালিকাও এখনো চূড়ান্তভাবে সরকারি ভাবে হয়নি। জামায়াতে ইসলামী তাদের তালিকা তৈরি শুরু করেছে। সুষ্ঠ ও সুন্দর তালিকা তৈরী করার দায়িত্ব জামায়েতে ইসলামী নিয়েছে।
কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তালিকা সংরক্ষন করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চব্বিশ এর আগে যারা সকল কিছু দখল করে নিয়েছিলো, চর দখল থেকে শুরু করে জমি দখল, নদী দখল, খাল দখল করেছিলো, তারা কিন্তু দেশের মানুষকে খুন, গুম করেই ক্ষান্ত হননি তারা জুলুম করেছিলো। তারা চব্বিশের আন্দোলনে দেশে থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি।
তারা দেশের বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান করছে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য দেশে থেকে দেশের বাইরে থেকে তরা গভীর স্বরযন্ত্র করছে। আজকে এই ভাষা দিবসে আমরা দাবি করছি যারা চব্বিশ, বছর, বিশ বছর, আঠারো বছর, যারা পনেরো বছর যারা অন্যায় অত্যাচার করছে তাদের বিচার আহবান করছি। যারা পালিয়ে আছে তাদের সবাইকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা সাইফুদ্দিন মনির, জাকির হোসেন, ফরিদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন, মাওলানা নাসির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুল কাইউম সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ হয় ছ ন র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা
পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী নয়ামাটি হোসিয়ারিপল্লিতে পোশাক তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা হোসিয়ারি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। এবার ৫০০ কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারেরা।
এবারের ঈদে নয়ামাটি-উকিলপাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রক, বাবা সেট, গেঞ্জি সেট, সূতি ওয়াশের জামা, চায়না জর্জেট, বড়দের গেঞ্জি, স্যান্ডো গেঞ্জি, টি-শার্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অন্তর্বাস, মাথার টুপি, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের নয়ামাটি এলাকায় হোসিয়ারিপল্লি গড়ে ওঠে। পরে নয়ামাটি থেকে তা উকিলপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হোসিয়ারিপল্লি ঘিরে গড়ে ওঠে হোসিয়ারি মার্কেট। এখান থেকে রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা বয়সী মানুষের পোশাক সরবরাহ করা হয়। নয়ামাটি-উকিলপাড়ায় পাঁচ হাজারের মতো হোসিয়ারি কারখানা আছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানায় পোশাক উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একসঙ্গে হয়। সারা বছর পোশাক বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় ঈদের মৌসুমে।
নয়ামাটির বিক্রমপুর হোসিয়ারি মার্কেটের ‘অর্পিতা হোসিয়ারিতে’ এবারের ঈদে এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাদের অ্যাংকর কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। প্রতি ডজন শিশুদের পোশাক ৯৬০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ফ্রক প্রতি ডজন ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অর্পিতা হোসিয়ারির ব্যবস্থাপক সাকিল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুতি ও নিট কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি হোসিয়ারীতে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে