বিনম্র শ্রদ্ধায় একুশের বীর শহীদদের স্মরণ করলো পূজা পরিষদ
Published: 21st, February 2025 GMT
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রভাত ফেরি ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ একুশের প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয়। এরপর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি তিলোত্তমা দাস, সহসভাপতি প্রদীপ সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি হিমাদ্রী সাহা হিমু, যুগ্মসম্পাদক শংকর কুমার রায়, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, প্রচার সম্পাদক তারক দাস, সহ-প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, ১৪নং ওয়ার্ড সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ভজন সাহা, সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষ, সুজন দাস, প্রান কৃষ্ণ ভৌমিক, পরশ হাজরা, শ্যামল শর্মা যোগিন্ড দাস প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা
পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী নয়ামাটি হোসিয়ারিপল্লিতে পোশাক তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা হোসিয়ারি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। এবার ৫০০ কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারেরা।
এবারের ঈদে নয়ামাটি-উকিলপাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রক, বাবা সেট, গেঞ্জি সেট, সূতি ওয়াশের জামা, চায়না জর্জেট, বড়দের গেঞ্জি, স্যান্ডো গেঞ্জি, টি-শার্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অন্তর্বাস, মাথার টুপি, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের নয়ামাটি এলাকায় হোসিয়ারিপল্লি গড়ে ওঠে। পরে নয়ামাটি থেকে তা উকিলপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হোসিয়ারিপল্লি ঘিরে গড়ে ওঠে হোসিয়ারি মার্কেট। এখান থেকে রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা বয়সী মানুষের পোশাক সরবরাহ করা হয়। নয়ামাটি-উকিলপাড়ায় পাঁচ হাজারের মতো হোসিয়ারি কারখানা আছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানায় পোশাক উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একসঙ্গে হয়। সারা বছর পোশাক বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় ঈদের মৌসুমে।
নয়ামাটির বিক্রমপুর হোসিয়ারি মার্কেটের ‘অর্পিতা হোসিয়ারিতে’ এবারের ঈদে এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাদের অ্যাংকর কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। প্রতি ডজন শিশুদের পোশাক ৯৬০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ফ্রক প্রতি ডজন ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অর্পিতা হোসিয়ারির ব্যবস্থাপক সাকিল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুতি ও নিট কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি হোসিয়ারীতে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে