রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ লাগানো যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 21st, February 2025 GMT
রাজশাহী নগরের পদ্মার পাড়ে মুখে স্কচটেপ লাগানো এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। শুক্রবারই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত লাশটি পদ্মাপাড়ের ওই কাশবনেই ছিল। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তার পরনে প্যান্ট, গেঞ্জি এবং জ্যাকেট রয়েছে। চোখে চশমা আছে। তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এর ওপরে স্কচটেপ লাগানো আছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিকেলে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে আসা লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। সেখান থেকে বিষয়টি রাজপাড়া থানা-পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ যায়।”
নিহত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘‘শরীরের কোথাও আঘাত দেখা যাচ্ছে না। তবে আলামত দেখে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। দুপুরের দিকে তাকে হত্যা করা হতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।’’
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক