বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে না দেখে: ভারত
Published: 21st, February 2025 GMT
বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে না দেখে, এটি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ওমানের রাজধানীতে ভারত মহাসাগর সম্মেলনের (আইওসি) সাইড লাইন বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে এ কথা বলেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন। সেসময় সার্কের বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে যে, কোন দেশ এবং কোন ধরনের কার্যকলাপ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী।’
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা কয়েকজন উপদেষ্টার মন্তব্য এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব কী পড়তে পারে তা পর্যবেক্ষণ করেছি। অবশ্যই সহযোগিতামূলক নয়। নির্দিষ্ট মন্তব্যের প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাবা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী হচ্ছে, তা আমরা সবাই ভালোভাবে জানি। প্রকৃতপক্ষে, এ মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনায়ও এটি উঠেছিল।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ ভারত’
বাংলাদেশের সাথে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায় ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেছেন। খবর এএনআই।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।”
জয়সওয়াল বাণিজ্য সমস্যা এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাণিজ্যিক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করলে নেপাল ও ভুটানের সাথে ঢাকার বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে যে যানজট দেখা যাচ্ছে তার কারণে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবে আমি আপনাদের এটাও মনে করিয়ে দেব যে, এই ব্যবস্থাগুলো ঘোষণা করার আগে বাংলাদেশের দিকে কী কী ঘটনা ঘটেছে তা দয়া করে একবার দেখে নিন। আঞ্চলিক একীকরণ ও বাণিজ্য সম্পর্কে আপনার ইস্যু, ট্রান্সশিপমেন্ট সম্পর্কিত আমাদের ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর প্রভাব ফেলবে না। সুতরাং, আমাদের মনে আছে যে আঞ্চলিক বাণিজ্যকে উন্নীত করা দরকার। তাই আমি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এভাবেই দেখব। আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে আসছি।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি ভারত লক্ষ্য করেছে বলে জানান জয়সওয়াল।
ঢাকা/শাহেদ