রাত পোহালেই নাট্য নির্মাতাদের ভোটের লড়াই
Published: 21st, February 2025 GMT
নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন শনিবার। বরাবরের মত এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুটি প্যানেল। একটি প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী অভিনেতা-নাট্য পরিচালক শহীদুজ্জামান সেলিম এবং অন্য প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী অভিনেতা-পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। মাঝে থাকবে এক ঘণ্টার বিরতি। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০১। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নরেশ ভূঁইয়া। তাঁর সঙ্গে নাট্যকার মাসুম রেজা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুস সামাদ খোকন দায়িত্ব পালন করবেন।
অভিনেতা ও নির্মাতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘সবার ভালোবাসা, সমর্থন ও সমর্থন পেয়ে এর আগেও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। আশা করছি, এবারও ভোটারদের সমর্থন পেয়ে বিজয়ী হব। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, নির্বাচিত হলে নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করার ইচ্ছা রয়েছে।
অভিনেতা ও নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে উৎসবমুখর হবে। সর্বাধিকসংখ্যক সাধারণ ভোটার ভোট প্রদান করবেন। ভোটার সংখ্যা ৫০১ জন। আমরা চাই সব ভোটারই এবার উপস্থিত থাকুক। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুক। সাধারণত মিডিয়াসংশ্লিষ্ট নির্বাচনগুলো খুবই উৎসবমুখর হয়। এবারও সে রকমই হবে আশা করছি। বাকিটা দেখা যাক কী হয়।
নির্বাচন নিয়ে সাধারণ নির্মাতাদের আগ্রহ অনেক। নির্মাতা জুয়েল মাহমুদ বলেন, আমাদের শিল্প, সংস্কৃতিকে বোঝেন এমন একজন মানুষকে চাই। আশা করছি, ভোটাররা তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন। নির্মাতা কায়সার আহমেদও একই আশা ব্যক্ত করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ বরণ
উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।
বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।