ডেভিল হান্টে ১৩ দিনে আটক ৭৩১০ জন
Published: 21st, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্টে এক দিনে আরও ৪৬১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে ১৩ দিনে মোট ৭ হাজার ৩১০ জনকে আটক করা হলো। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে আরও বলা হয়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধ মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১ হাজার ১৮৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, চাপাতি, শুটারগান ও বন্দুক।
গত ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী দেশব্যাপী ডেভিল হান্ট শুরু করে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা ও পরোয়ানা রয়েছে, তাদের আটকের পাশাপাশি চাঁদাবাজি, দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরও আটক করা হচ্ছে। দেশজুড়ে অভিযানে ১৩ দিনে অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে ১২ হাজার ৭২৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুরে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার পর এ বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় সরকার। পরদিন সন্ধ্যার পর থেকে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ১৩ দিনে গ্রেপ্তার ৭৩১০
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মোট ১ হাজার ৬৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৪৬১ জন এবং অন্য মামলা ও ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৯ জনকে। এ নিয়ে অপারেশন ডেভিল হান্টে মোট ৭ হাজার ৩১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পুলিশের সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে তাদের গ্রেপ্তারের সময়ে একটি দেশীয় পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি দেশীয় তৈরি দোনলা বন্দুক (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি শুটার গান ও একটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন, যাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম কাশেম খান।
হামলার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।