নাট্যদল প্রাচ্যনাটের ২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক ‘এক জোড়া জুতা’। শনিবার ও রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির প্রদর্শনী হবে।
‘এক জোড়া জুতা’ নাটকটি রচনা করেছেন মেহরাব রহমান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ইমামুল হক।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে, এক জোড়া হারানো জুতার গল্প। জুতা হারানোর পর চারদিক শূন্য হয়ে যায়, মাতৃভূমির উর্বর মাটিও শূন্য পড়ে থাকে, শূন্য থাকে কৃষকের ঘর, তারুণ্যের সোনালী স্বপ্ন। পুরো নাটক জুড়েই শিল্পীরা কীভাবে এ জুতা হারিয়েছে সেটা খুঁজে বেড়াবেন।
সবাই প্রতীক্ষায় থাকে কখন খুঁজে পাওয়া যাবে সেই একজোড়া জুতা। এই জুতা খোঁজার মধ্য দিয়ে স্বজন হারানো ব্যথার নানান ব্যঞ্জনা উঠে এসেছে নাটকটিতে।
নাটকটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে কানাডার ‘টরন্টো থিয়েটার ফোকস’ এবং ‘প্রাচ্যনাট’। সংগীত করেছেন নাওয়ার আশিকুজ্জামান এবং আশিকুজ্জামান টুলু, মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন আজাদ আবুল কালাম।
১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ‘প্রাচ্যনাট’ এর পথচলা শুরু হয়। নাট্যদলটি সার্কাস সার্কাস, এ ম্যান ফর অল সিজনস, কইন্যা, রাজা এবং অন্যান্য, কিনু কাহারের থেটার, পুলসিরাত ও খোয়াবনামাসহ বেশি কিছু নাটকের কারণে প্রশংসিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।