দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বড়হরিপুর পোদ্দারপাড়া গ্রামে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানে পুরোহিতের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনায় আহত পুরোহিত ব্রাহ্মণ জামেনী কান্ত মহন্তকে (৮০) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত একই ইউনিয়নের শালন্দার মণ্ডলপাড়া গ্রামের রিফাত হোসেন (২০) নামে এক তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। অনুষ্ঠান চালিয়ে নিতে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

যজ্ঞানুষ্ঠানের সভাপতি প্রফুল্ল রায়ের ছেলে স্কুলশিক্ষক মানিক চন্দ্র রায় জানান, প্রতিবারের মতো এবারও দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের (অষ্টপ্রহর) আয়োজন করেন গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার অনুষ্ঠান চলাকালে রিফাত স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে ব্রাহ্মণের মাথার তালুতে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঘটনার পর ছুটে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.

আফছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় রিফাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিএনপি নেতা একরামুল হক বলেন, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে রিফাত কয়েক মাস ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসার কাগজ থানায় পাঠানো হয়েছে। যজ্ঞানুষ্ঠান চালাতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বিএনপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

পার্বতীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার ফুল মিয়া বলেন, ব্রাহ্মণের ওপর হামলার ঘটনায় রিফাত হোসেন নামে এক তরুণকে থানায় আনা হয়েছিল। মানসিক চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল তাঁর পরিবার। তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা অনুষ্ঠিত

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বিপিএম।  সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন) মো. মতিউর রহমান শেখ, অ্যাডিশনাল আইজি ও পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভলপমেন্ট) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (অ্যাডমিন), কাজী মো. ফজলুল করিম, ডিআইজি (সেবা) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, ডিআইজি (পুলিশ টেলিকম) মো. আমিনুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ) মুনতাসিরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (যুগ্ম-কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) সুফিয়ান আহমেদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট) আহমদ মুঈদ, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান তালুকদার, স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), মো. আবদুল কাইয়ুম খান এবং কোম্পানি সচিব সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ