বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “যে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা, সাজানো, পাতানো মামলায় নিজামী, মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে- সেই ট্রাইবুনালেই মানবতাবিরোধীদের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার বিচার হবে। তবে শেখ হাসিনার আমলের ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা আর কথিত বিচার হলেও এখন সঠিক বিচার হলেই শেখ হাসিনা শাস্তি পাবেন।”

৫ আগস্টের পর অনেক আসামি মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিনা অপরাধে এখনও কারাগারে থাকতে হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “এজন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।” 

ওই অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি দেশবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই, জুলুমের বিরুদ্ধে।”

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, “৫৩ বছরে দেশের মানুষ অনেক সরকারের শাসন দেখেছে। এখন দেখতে বাকি জামায়াতের শাসন। নতুন বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জামায়াত সহযোগিতা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘অনেকে আছে এখনই নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, যেসব জায়গায় বিগত পনের বছরের জঞ্জাল রয়েছে সেগুলো আগে পরিষ্কার করে, সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। দেশবাসী আর ২০১৪, ২০১৮ আর ২০২৪ এর মতো কোন নির্বাচন দেখতে চায় না। বিগত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশলীগ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। আর কোনদিন তেমন নির্বাচন এদেশের মানুষ দেখতে চায় না। দেশবাসী চায় একটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।”

ফুলতলা ইউনিয়ন আমীর মাস্টার মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস; 

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্যা, নায়েবে আমীর মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি আলী আকবর মোড়ল। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, জামাত নেতা আশরাফুল আলম, ছাত্র শিবির নেতা মোহাম্মদ হোসাইন, যুব বিভাগের সভাপতি মেহেদী হাসান জুলহাস মোল্লা, ছাত্রশিবির নেতা মো.

আব্দুর রহিম খান, মো. ইরান মোল্লা, ড. আজিজুল হক, শেখ মো. আলাউদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ, শ্রমিক নেতা এমরান হুসাইন, এস এম নূরুল ইসলাম বাবুল গাজী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম ইসল ম র ফ লতল

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ