রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৫ নম্বর রোডের শহীদ জিয়া কলেজের উত্তর পাশের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ছুরি, একটি রামদা ও চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোহেল হাওলাদার (২৯), মো.

রাজা (৩২), শাহাদাৎ হোসেন (৩৬), আবদুল মান্নান (২৯) ও মো. সুজন (৩০)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৫ নম্বর রোডের শহীদ জিয়া কলেজের উত্তর পাশে সাগর জেনারেল স্টোরের সামনের রাস্তায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা তিন-চারজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাঁরা দেশীয় অস্ত্র, ককটেলসহ একত্র হয়েছিলেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় চুরি ও মাদকসেবনের অভিযোগে ডাকা সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুজন হলেন- নাওগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গফুর (৪০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহত বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও চুরি ঘটনায় সালিশ বসার কথা ছিল। এজন্য দুপুরে গফুরের বাড়িসংলগ্ন মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষ উপস্থিত হন। কিন্তু সালিশে না গিয়ে নিজ ঘরে রামদা হাতে বসে ছিলেন গফুর  ও মেহিদী। এ সময় তাদের ডাকতে সালিশের কয়েকজন লোক বাড়িতে গেলে দা নিয়ে তেড়ে যান গফুর। এতে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গফুর এবং তার ছেলে মেহেদীকে হত্যা করে। এ সময় তারা বাবা-ছেলের মাদক বিক্রি সেবনের আস্তানা হিসাবে পরিচিত পাশের গ্রামের হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তির বাসা, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে।

গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা যত অপরাধই করে থাকুন, দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। কেন তারা বাবা ও ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করল।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। 

অন্যদিকে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ