সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে রাস্তা পারাপারের সময় একটি লরির ধাক্কায় ২৬ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

জোহর রাজ্যের মুয়ার জেলার পুলিশ প্রধান সহকারী কমিশনার রইজ মুখলিজ আজমান আজিজ জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় লরির সঙ্গে ধাক্কায় ঘটনাস্থলে এক বাংলাদেশির নিহত হয়েছে।

তবে, নিহত বাংলাদেশির নাম পরিচয় জানা জানাতে পারেননি তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সকাল ৬.

৫১ মিনিটে জনসাধারণের কাছ থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে একটি জরুরি কল পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীর সারা শরীরে গুরুতর আঘাত দেখা যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, সড়ক পরিবহন আইন (এপিজে), ১৯৮৭ এর ৪১(১) ধারায় তদন্তে সহায়তা করার জন্য পুলিশ লরি চালককে খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া ঘটনার সাথে সম্পর্কিত তথ্যসহ জনসাধারণকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে তদন্তে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

জনসাধারণকে রাস্তা পারাপারের সময় আরও সতর্কতা অবলম্বন করা এবং তাদের নিজের এবং অন্যান্য সড়ক ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা বজায় রাখতে সর্বদা সাবধানে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহত বাংলাদেশির ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সড়ক পরিবহন আইন ১৯৮৭ এর ৪১(১) ধারায় মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান আজমান আজিজ।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।

২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।

অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।

অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ