রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দগ্ধ হওয়া এক কয়েদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি কারাগারে রান্নার সময় পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে দগ্ধ হন তিনি।

মৃত কয়েদির (২১৬৭/এ) নাম বিপুল কুমার (৩৩)। তিনি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার লক্ষ্মীপুর ভান্ডারপুর এলাকার সুনীল চন্দ্র সরকারের ছেলে। নওগাঁ সদর থানার ২০১০ সালের একটি মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা.

শংকর কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্নার সময় বিপুল কুমার গত ১০ ফেব্রুয়ারি পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে যান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠায়। এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. আফরোজা নাজনীন জানান, গরম পানিতে পড়ে যাওয়ায় বিপুল কুমারের শরীরের ২০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছিল। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পরে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। আর তাকে স্থানান্তরের জন্য হাসপতাল কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ঢাকায় পাঠানোর আগেই দগ্ধ বিপুল কুমারের মৃত্যু হয়।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় বলেন, “রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ন ইউন ট গরম প ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

একের পর এক চেষ্টা করেও পারলেন না মেসি, বিদায়ের শঙ্কায় মায়ামি

ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হেরে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ থেকে বিদায়ের আশঙ্কায় পড়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে মায়ামি হেরেছে ২–০ গোলে।

আজ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও জ্বলে উঠতে পারেননি মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার নিষ্প্রভ থাকার দিনে সুবিধা করতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ–সের্হিও বুসকেতসরাও। যা শেষ পর্যন্ত মায়ামিকে দিয়েছে হতাশাজনক একই হারের স্বাদ।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে প্রথম লেগে হেরে ফিরতি লেগে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মায়ামি। সেই ঘুরে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্তই এখন মায়ামির জন্য অনুপ্রেরণার। সেবার অবশ্য প্রথম লেগে মায়ামি হেরেছিল ১–০ গোলে। এবার ব্যবধানটা ২ গোলের হওয়ায় বেশ চাপেই থাকবে হাভিয়ের মাচেরানোর দল।

আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫

ভ্যাঙ্কুভারের মাঠ বিসি প্ল্যাসে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পিছিয়ে যেতে পারত মায়ামি। সে যাত্রায় গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি। ১২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ তৈরি করেছিলেন মেসি, যদিও সেটি গোলের জন্য যথেষ্ট হয়ে ওঠেনি।

১৭ মিনিটে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ভ্যাঙ্কুভার। দুই মিনিট পর গোটা স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে দারুণভাবে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও অল্পের জন্য পাওয়া হয়নি গোল।

আজ চেষ্টা করেও পারেননি মেসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ