Prothomalo:
2025-04-30@16:15:28 GMT

ভূতের চেয়েও ভয়ংকর যে রোবট

Published: 21st, February 2025 GMT

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে জার্মান সিরিজ ‘ক্যাসান্দ্রা’। ৫০ বছর আগের একটি রোবট নিয়ে বানানো সিরিজটি আজকের দিনেও মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার।
ইতিমধ্যে ভৌতিক সায়েন্স ফিকশন সিরিজটিকে রটেন টমাটোজে সমালোচকেরা শতভাগ ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন। ছয় পর্বের মিনি সিরিজটি বাংলাদেশে নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। কী আছে এই সিরিজে, যা মাতিয়ে রেখেছে দর্শকদের? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

একনজরে
সিরিজ: ‘ক্যাসান্দ্রা’
ধরন: সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার
পর্বসংখ্যা: ৬
পরিচালক: বেনজামিন গুটশে
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম: নেটফ্লিক্স
অভিনয়ে: মিনা টান্ডার, মাইকেল ক্ল্যামার, যোশুয়া কান্টারা, মেরি টোল্লে, লাভিনিয়া উইলসন

সামিরা ও ডেভিভ প্রিল দম্পতির রয়েছে একটি ভয়ংকর অতীত। সেখান থেকে বের হয়ে আসতে তারা নতুন জায়গায় একটি বাড়ি কেনে। দুই সন্তানসহ তারা সেখানে চলে আসে। নতুন বাড়িতে আসার পরই তারা এত সুন্দর আর গোছানো বাসা দেখে অবাক হয়। তারা আরও অবাক হয়, যখন দেখতে পায় এই বাড়িতে রয়েছে একটি পুরোনো ধাঁচের রোবট—ক্যাসান্দ্রা। ক্যাসান্দ্রা একটি পুরোনো এআই সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রোবট। যদিও সেটি ৫০ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু প্রিল দম্পত্তি বাড়িতে প্রবেশ করার পরই সিস্টেমটি নিজ থেকেই চালু হয়ে যায়।

মাথায় একটি টেলিভিশন স্ক্রিন লাগানো, লাল রঙের লম্বা ক্যাসান্দ্রা নিজেকে পারিবারিক কাজের সহায়ক হিসেবে পরিচয় দেয়। যে যাবতীয় ছোটখাটো কাজ করতে পারে—কাপড় ধোয়া, ঘাস কাটা, সকালের কফি বানানো, নাশতা বানানোয় সাহায্য করা। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে থাকে, যখন প্রকাশ পায় ক্যাসান্দ্রা কারও কমান্ড ছাড়াই কাজ করতে পারে।

‘ক্যাসান্দ্রা’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোসংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ ঘটনায় বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা এবং সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপলি বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি রেজাউল হক এই আদেশ দেন। 

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তিন কর্মকর্তা রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। গত ৯ এপ্রিল রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশের বিষয়ে পরবর্তীতে কৃষি মন্ত্রণালয় আপিল করলে বুধবার আদালত আগের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যানেল আইনজীবী বদরুল ইসলাম বলেন, আদালতের এই আদেশের ফলে দোষীদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত অব্যাহত রাখতে আর আইনগত কোনো বাধা থাকল না। মন্ত্রণালয়ের অবসরে পাঠানো এবং সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সঠিক ছিল। 

বিএমডিএর ইডি শফিকুল ইসলামকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু রিলিজ অর্ডার না পাওয়ায় তিনি দপ্তর ছাড়তে পারছিলেন না। এর মধ্যে ২৩ মার্চ দুপুরে একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডির দপ্তরে ঢুকে পড়েন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। তারা তাকে জোরপূর্বক দপ্তর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এমনকি অফিস ত্যাগ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে ৩০ মিনিট সময় চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। পরে অফিস আদেশ ছাড়াই ইডির চেয়ারে বসে পড়েন জাহাঙ্গীর আলম খান।

ঘটনার পরপরই কৃষি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এবং ২৫ মার্চ রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। ২৫ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এক অফিস আদেশে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদাশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তদন্ত কমিটি মাঠে যেতে পারেনি। এখন আর তদন্তে বাধা নেই।

বিএমডিএ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালকের পদটি একটি প্রশাসনিক পদ, যা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাকে চেয়ার থেকে টেনে নামানো এবং সেই চেয়ার দখল করা চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দরকার ছিল। তদন্তের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম খানের অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা আশা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ