ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ
Published: 21st, February 2025 GMT
আসন্ন ঈদ উৎসবে দেশের ইলেকট্রনিকস খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতারা আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। উদ্বোধন করেন ক্যাম্পেইনটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো.
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরে আরিফুল আম্বিয়া বলেন, ‘সিজন-২২ চলাকালে ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর সংশ্লিষ্ট পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা, বিভিন্ন অঙ্কের ক্যাশ ভাউচার অথবা নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের উপহার বুঝিয়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উৎসব সামনে রেখে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ শুরু করা হয়েছে। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ঈদুল আজহা পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন।
উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডেটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সে জন্য দেশব্যাপী ওয়ালটন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ক য ম প ইন অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ছাত্রশিবির আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রশাসনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক।
জানা যায়, পূর্বঘোষিত ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি এ দুইদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের জন্য অপেক্ষা না করে স্টলগুলো তুলে দিতে বলে প্রশাসন। অন্যথায় স্টল ভেঙে ক্লিন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক বলেন, বাধা দেওয়া হয়নি বরং আমরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছি যেন তারা অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করে এবং আজকের মধ্যেই শেষ করে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও ২১ ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতির বিষয় বিবেচনায় নিয়েই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা না শুনলে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তবে আয়োজক ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশনা উৎসবটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হচ্ছিল এবং এতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা ছিল না।
এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও অনেকে এর বিরোধিতা করছেন। প্রকাশনা উৎসবে আগত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এখানে কেবলমাত্র বই দেখতে ও কিনতে এসেছি। এটা তো কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, তাহলে কেন এটি বন্ধ করা হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ হওয়া উচিত, কিন্তু বারবার এভাবে বাধা দেওয়া হলে আমাদের জুলাইয়ের উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।
এ নিয়ে শেকৃবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য একটি প্রকাশনা উৎসব করেছি। যা আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেছি এবং প্রশাসনের মৌন সম্মতিতে করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজন বিবেচনায় রেখে আমরা অনুষ্ঠানটি শহিদ মিনারের পাশে থেকে সরে টিএসসির সামনে আনি। পাশাপাশি রাত ৮ টার মধ্যে সব কার্যক্রম শেষসহ স্থানটি আগের মতো পরিচ্ছন্ন করে রাখারও কথা দিয়েছি।